Suvendu on Pralay: 'প্রলয় পালের মতো কোনও লোকের বিশ্রাম নেওয়ার কোনও জায়গা নেই' : শুভেন্দু
BJP News: একুশের বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পালের সঙ্গে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ফোনে কথোপকথনের অডিও টেপ সামনে এনে, তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল বিজেপি
তমলুক : ছাড়ছেন না বিজেপি। ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে জানিয়ে দিয়েছেন তমলুক বিজেপির সহ সভাপতি প্রলয় পাল (Pralay Pal)। ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই এহেন ডিগবাজির কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, 'বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের অনুরোধেই রাজনীতিতে থাকার সিদ্ধান্ত।' সেই সুরেই এবার শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) বললেন, "যতক্ষণ না মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং তাঁর ভাইপোর হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করা যায়, ততক্ষণ প্রলয় পালের মতো কোনও লোকের বিশ্রাম নেওয়ার কোনও জায়গা নেই। সেটা আমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।"
একুশের বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পালের সঙ্গে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ফোনে কথোপকথনের অডিও টেপ সামনে এনে, তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল বিজেপি। সেই প্রলয় পালই দু'দিন আগেই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, 'ভাল থেকো রাজনীতি, আর নয়, দাও বিদায়।' এই পোস্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, "আমার পক্ষে আর রাজনীতি করা সম্ভব নয়। কারণ, দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। একই পদে আছি। নতুন নতুন লোকেরা এসেছেন। তাঁদের জায়গা দেওয়া উচিত বলে মনে হয়। সেই জায়গা থেকে জেলা সভাপতিকে বলে দিয়েছি, অন্য কাউকে জায়গা দিন। পদত্যাগপত্র দিয়ে আসব।" এই মন্তব্যের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপির প্রলয় পালের ডিগবাজি। ছাড়ছেন না বিজেপি, বলে জানিয়ে দেন তমলুক বিজেপির সহ সভাপতি।
এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু বলছেন, "প্রলয় পাল কখনোই বিজেপির বাইরে গেছে সেকথা বলেননি। কিছু অভ্যন্তরীণ বিষয় থেকে ওঁর হতাশা এসেছিল। সেই হতাশা থেকে তিনি একটি পোস্ট করেছিলেন। বিদায় রাজনীতি। তাঁর মানে তিনি, সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চান। কিন্তু তিনি কখনোই বলেননি যে, বিজেপি ছাড়লেন। বিজেপি অনেকভাবে করা যায়। একজন রাষ্ট্রবাদী সমর্থক হয়ে বিজেপি করা যায়। তার জন্য জেলা কমিটির সভাপতি, সহ সভাপতি, এমএলএ, পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার দরকার নেই। ওঁকে আমি জেলা পরিষদের টিকিট অফার করেছি। উনি বলেছেন, আমি লড়ব না, অরূপ জানা লড়বেন। সাংগঠনিক বিষয়ে তাঁর কিছু প্রস্তাব ছিল। জেলা সভাপতি সেই প্রস্তাব অ্যাকমোডেট করেননি বা করতে পারেননি। সে তো অভ্যন্তরীণ আলোচনা করে সমাধান হবে। কাল, সারাদিন দল ওঁর সঙ্গে আলোচনা করেছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করেছে। কর্মীরা গিয়ে বলেছেন, আপনার সক্রিয়তা দরকার। যতক্ষণ না মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং তাঁর ভাইপোর হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করা যায়, ততক্ষণ প্রলয় পালের মতো কোনও লোকের বিশ্রাম নেওয়ার কোনও জায়গা নেই। সেটা আমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।"