Arambag News: রাস্তায় বাস থেকে নামিয়ে খুনের হুমকি, প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা জানিয়ে ফেসবুক পোস্ট অধ্যাপিকার
মহিলার দাবি, গাড়িচালকের সঙ্গে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। অভিযোগ, গত মার্চ মাসে চালক তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। এরপর গতকাল অধ্যাপিকাকে মারধরও করা হয়।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বাঁকুড়া (Bankura) থেকে বর্ধমানে (Burdwan) ফেরার পথে, মাঝরাস্তায় বাস থেকে নামিয়ে খুনের হুমকি (Murder Threat) দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। বাসে বসেই প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা জানিয়ে নিজের গাড়িচালকের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্ট (Facebook Post) করেন অধ্যাপিকা। গতকাল বর্ধমান (Burdwan)-আরামবাগ (Arambagh) রোডে একটি বেসরকারি বাস থেকে অধ্যাপিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরের আনন্দপল্লীর বাসিন্দা সুরজিৎ দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মহিলার দাবি, গাড়িচালকের সঙ্গে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। অভিযোগ, গত মার্চ মাসে চালক তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। এর পর গতকাল অধ্যাপিকাকে মারধরও করা হয়। অধ্যাপিকার অভিযোগ, কর্মসূত্রে গতকাল বাঁকুড়া থেকে ফেরার পথে, গাড়িচালকের কাছ থেকে খুনের হুমকি পান। এর পরেই ফেসবুকে প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা জানিয়ে পোস্ট করেন ওই অধ্যাপিকা। ফেসবুক পোস্ট দেখে বিষয়টি জানতে পেরে তত্পর হয় বর্ধমান থানার পুলিশ।
মহিলার অভিযোগ, সুরজিৎ তার গাড়ির চালক হলেও তার সঙ্গে একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তার রাজনৈতিক প্রভাব আছে বলেও বারবার দাবি করত। গতকাল রাতে তাঁকে বাড়িতে আটকে রেখে মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকি মাঝেমধ্যেই খুনের ও বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিত। এমনকি তাঁকে নজরবন্দি করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ তোলেন অধ্যাপিকা।
আজ কর্মসূত্রে বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে বাসে করে বাড়ি ফেরার পথে সুরজিৎ খুনের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এমনকি তাকে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় বলে মহিলার অভিযোগ। এরপরই প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করে তিনি সামাজিক মাধ্যমে সাহায্য চেয়ে পোষ্ট করেন।
পূর্ব মেদিনীপুরে ধুন্ধুমার: উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার সামনে শুভেন্দু অধিকারীর বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার। দফায় দফায় গন্ডগোল। এদিন খেজুরি থেকে ভূপতিনগর থানার দিকে যাওয়ার সময় বিজেপি কর্মীদের গাড়ি আটকানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর শুভেন্দু অধিকারীর বক্তৃতা চলাকালীন নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন তাঁরা। ঘণ্টাদুয়েক ধরে চলে টানাপোড়েন। শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও রাতে বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এদিন ভূপতিনগরে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিজেপির দাবি, কর্মসূচি বানচাল করতেই তাদের কর্মীদের গাড়ি আটকে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে তৃণমূল। শাসকদলের পাল্টা দাবি, নিজেরা গন্ডগোল তৈরি করে রাজনীতি টেনে আনার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।