CHC on Red Beacon Use : লালবাতি ব্যবহার নিয়ে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমার নির্দেশ হাইকোর্টের
Red Beacon Use : অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
কলকাতা : লালবাতি ব্যবহার (Red Beacon Use) নিয়ে রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে রাজ্যকে। তার ২ সপ্তাহের মধ্যে জবাবি হলফনামা দেবে মামলার সঙ্গে যুক্ত অন্যরা। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ। আগামী ১৯ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি। অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
লালমাটির জেলায় তাঁর দাপট কার্যত প্রশ্নাতীত। কিন্তু, গাড়ির মাথায় লালবাতি নিয়ে আইনি জটিলতায় জড়ান বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক চলছিলই। সেই জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। বিজেপি নেতা এবং আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এনিয়ে মামলা করেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, অনুব্রত মণ্ডল এমন কোনও পদে নেই, যাতে লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করা যায়। তাহলে তিনি লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করেন কী করে ? পাশাপাশি এতগুলো জেলা পেরিয়ে আসার সময় পুলিশ এনিয়ে কেন ব্যবস্থা নিল না সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
২০২১ সালে নির্দেশিকা জারি করে, গাড়িতে লালবাতি-নীলবাতি ব্যবহারে রাশ টানে পরিবহণ দফতর। বলা হয়, শুধুমাত্র ১৪ জন পদাধিকারীই এই সুবিধে পাবেন। যে তালিকায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মুখ্য সচিব, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, প্রধান সচিব, ডিভিশনাল কমিশনার, রাজ্য পুলিশের ডিজি, দমকলের ডিজি, আয়কর ও শুল্ক দফতরের কমিশনার, পুলিশের আইজি ও ডিআইজি, জেলাশাসক, পুর-কমিশনার, বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার, সাব ডিভিশনাল অফিসার ও পুলিশের সাব ডিভিশনাল অফিসাররা। এছাড়াও পুলিশের টহলদারি গাড়িতে বাতি ব্যবহার করা যাবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়।
বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যে লালবাতি পাওয়ার যোগ্য নন, সেকথা মেনে নেন খোদ পরিবহণমন্ত্রী। অনুব্রত মণ্ডল লালবাতি লাগানো যে কালো গাড়িতে চড়ে সম্প্রতি SSKM’এ এসেছিলেন, কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, তা একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে রেজিস্টার্ড। যা আদতে একটা NGO। ফলে সেই গাড়ির মাথায় লালবাতি কী করে থাকে ? তা নিয়ে আগেই বিতর্ক দানা বাঁধে।