Justice Abhijit Ganguly: বিচারকের বদলিতে বিলম্ব, বিকেল ৫টার মধ্যে হাজিরার নির্দেশ মলয়কে, কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও
Calcutta High Court: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সম্প্রতি সিবিআই আদালতের বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়েন গোয়েন্দারা। তাঁকে বদলি করা নিয়েই টানাপোড়েন।
কলকাতা: বিচারকের বদলিতে বিলম্ব হওয়া নিয়ে এবার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকেক তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। (Calcutta High Court) বিকেল ৫টায় মলয়কে আদাসতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্য়ায়ের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে তলব করা হয়েছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, বিচারকের বদলি সংক্রান্ত ফাইল ২৫ অগাস্ট থেকে পড়ে রয়েছে তাঁর কাছে। সেই নিয়েই তলব করা হয়েছে। তিনি না এলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (recruitment scam) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকায় যেমন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদালত, তেমনই বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণের ভূমিকাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে তাঁকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তাঁকে বদলি করা হয়নি বলে জানতে পেরে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "জানতে পেরেছি এখনও বদলি হয়নি। মাথার উপর কার হাত?"
বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে জুডিশিয়াল সেক্রেটারি বলেন, "বিবেচনার জন্য আইনমন্ত্রীর কাছে ফাইল রয়েছে। সেখান থেকে ছাড়পত্র না পেলে কিছু করা সম্ভব নয়।" কেন এতদিন ধরে পড়ে রয়েছে ফাইল, তা জানতে এর পরই মলয়কে তলব করা হয়। আইনমন্ত্রী হাজিরা না দিলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। (Abhijit Ganguly) একই সঙ্গে জানিয়ে দেন, নতুন কেউ দায়িত্বে আসা না পর্যন্ত বিচার করতে পারবেন না সিবিআই- বিচারক অর্পণ।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশকে মামলায় যুক্ত করা হয়। ধৃত চার শিক্ষক তদন্তে সহযোগিতা না করলে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাতে ওই চার জনের জেল হেফাজতের নির্দেশও দেয় বিশেষ সিবিআই আদালত। তাতেই ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও সিটের কাজে হস্তক্ষেপের অধিকার কে দিয়েছে? কেন জেলে পাঠানো হল? কেন এই বিচারক অত্যুৎসাহী হয়ে পড়েছেন?" নতুন কেউ না আসা পর্যন্ত অর্পণ চট্টোপাধ্যায় কোনও বিচার করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেন। কেন তাঁর বদলি এখনও আটকে রয়েছে, তার কৈফেয়ত চাইতেই তলব করা হয়েছে মলয়কে।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই সিবিআই-কে ভর্ৎসনা করে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন সিবিআই-বিচারক অর্পণ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে তাঁর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিবিআই-কে। তদন্তে নতুন কী রয়েছে, জানতে চান তিনি। পার্থর জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে বার বার একই যুক্তি কেন দেওয়া হচ্ছে জানতে চান। মামলার অগ্রগতি কী হয়েছে, প্রশ্ন করেন। এর পর সিবিআই-এর উদ্দেশে তিনি বলেন, "আমাকে বোকা ভেবেছেন? অর্ডারটা কি পড়েছেন? কেস ডায়েরি দেখুন। এক এক করে ভুল ধরতে শুরু করলে কেঁদে কূল পাবেন না।"