Calcutta University : TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে কেন পরীক্ষা? এবার সরকারের হস্তক্ষেপ ! দিন বদল চেয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি
Calcutta University Exam Date : পরীক্ষার দিন বদল চেয়ে এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজ্য সরকারের চিঠি!

কলকাতা: TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে কেন পরীক্ষা? এবার সরকারের হস্তক্ষেপ ! দিন বদল চেয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে উচ্চ শিক্ষা দফতরের চিঠি।
আরও পড়ুন, 'মনোজিৎকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে..' ! কসবাকাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ আইনজীবীর
মূলত, ২৮ অগাস্ট TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের পরীক্ষা। পরীক্ষার দিন বদল চেয়ে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্য সরকারের চিঠি! 'সরকার এবং দল একাকার হয়ে লিখিত নির্দেশ দিচ্ছে। শিব ঠাকুরের আপন দেশে নিয়ম কানুন সর্বনেশে। এমন দিন আগে কখনও দেখিনি, পরীক্ষায় অনড় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। ২৮ অগাস্ট পরীক্ষায় অনড় থেকে সিন্ডিকেট বৈঠক ডাকছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য।
আগের সিদ্ধান্তে অটল কিনা জানতে চাইলে, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন, TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবস নিয়েই তো এত কথাবাত্রা ? তৃণমূলের যিনি সুপ্রিমো বা যারা আছেন উপরে, তাঁরা যদি বরং এটা করতেন, Ruling Party এর ছাত্র সংগঠন থেকে Unruly ছেলেপুলে তৈরি হচ্ছে। তাঁরা গ্যাং রেপিস্ট, গ্যাং ডাকাত, গ্যাং বদমাশ। তাঁদের বিরুদ্ধে FIR করতে হচ্ছে। সুপ্রিমো যদি ডেকে বলতেন যে, তোরা যা করছিস, তাতে আমার মুখে চুনকালি পড়ছে। সুতরাং তোঁদের প্রতিষ্ঠা দিবস এবার বন্ধ। এটাতেই ওনার জনপ্রিয়তা অনেক বাড়ত। ২৬ সালের ভোটেও ওনার অনেক সুবিধাই হত বলে আমার মনে হয়।...হ্যাঁ এখনও পর্যন্ত আমাদের আগের সিদ্ধান্ততেই অটল আছি। আমি কল্পনাতেও আনতে পারিনি, সরকারি তরফ থেকে এরকম একটা সার্কুলার জারি হতে পারে। আমি দেখিনি সরকার এবং রাজনৈতিক দল মিলেমিশে একটা লিখিত অর্ডার জারি করে। TMCP প্রতিষ্ঠা দিবসে, তারা কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলিকে পরিবর্তন করার জন্য, হায়ার এডুকেশনের কাছে অ্যাপিল করেছে।'

২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। মেয়ো রোডে বিশাল সমাবেশে প্রতিবছর মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে, ২৮ অগাস্ট সরকারি কোনও ছুটির দিন নয়। সেদিনই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে B.Com, B.A. LLB-এর চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা রয়েছে। তা নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দেকে বেলাগাম আক্রমণে নেমেছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী। অভিরূপ চক্রবর্তী বলেছিলেন, উপাচার্যর তো অবিলম্বে পদত্য়াগ করে একহাতে সিপিএমের পতাকা আর একহাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে দাঁড়ানো উচিত। সবথেকে বড় অনুপ্রবেশকারী হচ্ছে শান্তা দত্ত।' পাল্টা অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দের দাবি, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আক্রমণ করে বাহবা কুড়োনো যেতে পারে, কিন্তু আমি তার উত্তর দিলে আমি মনে করি আমার নিজের মর্যাদা খাটো হবে।'


















