Cattle Smuggling Case: 'কোন অধিকারে তদন্ত করছেন, কেন্দ্র কি ক্ষমতা দিয়েছে?' গরুপাচার মামলা সরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়ে তিরস্কৃত ED

Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল।

Continues below advertisement

আসানসোল: গরুপাচার মামলা দিল্লিতে নিয়ে যেতে চেয়ে আবেদন। সেই নিয়ে আসানসোল আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়ল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রীয় সরকার কি কোনও ক্ষমতা দিয়েছে তাঁদের, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের প্রশ্ন বিচারকের। ইচ্ছা মতো যখন তখন যে কোনও আদালতে মামলা সরানো যায় কিনা, প্রশ্ন তুললেন বিচারক। তাতে কার্যতই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ইডি-র আইনজীবী। (Cattle Smuggling Case)

Continues below advertisement

গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গোড়ায় আসানসোল জেলে রাখা হলেও, প্রভাবশালী তকমা দিয়ে দিল্লির তিহাড় জেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দু'জনকেই। গত ২৮ জুলাই গরুপাচার মামলাটিকেও দিল্লির রাইস অ্যাভিনিউ কোর্টে সরিয়ে নিয়ে যেতে আদালতে আবেদন জানায় ইডি। 

সেই মামলার শুনানি ছিল শনিবার। এদিন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক শুরুতেই CBI-এর তদন্তকারী অফিসারের কাছে জানতে চান, এখনও পর্যন্ত গরুপাচার মামলায় কতগুলি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে? উত্তরে CBI-এর তদন্তকারী অফিসার জানান, একটটি চার্জশিট এবং চারটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। বিচারক জানতে চান,
কতজন সাাক্ষী রয়েছেন? সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার জানান, প্রায় ৫০০ জন। 

আরও পড়ুন: Firhad Hakim: ‘ফিরহাদের লোক কারও পরিচয় হয় নাকি, পরজীবী হয়ে বাঁচা যায়’! দলবদলে জামাইকে কটাক্ষ ফিরহাদের

এরপরেই শুনানি চলাকালীন আদালতে তিরস্কৃত হয় ইডি। বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী প্রশ্ন করেন, "কোন অধিকারে এই মামলার তদন্ত করছেন আপনারা? কেন্দ্রীয় সরকার কি আপনাদের কোনও ক্ষমতা দিয়েছে? তাহলে আপনারা কী ভাবে, ইচ্ছে মতো অন্য কোনও আদালতে মামলা সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন?" 

সেখানেই থামেননি বিচারক- রাজেশ চক্রবর্তী। মামলার অধিকাংশ অংশ যখন আসানসোল সিবিআই আদালতে, অন্যত্র মামলা নিয়ে যাওয়ার আবেদন কেন, প্রশ্ন তোলেন তিনি। ইডি-র আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, "অন্য এজেন্সির মামলা ইচ্ছে মতো অন্য কোনও আদালতে নিয়ে যেতে চাইছেন কী করে? ৫০০ জন সাক্ষীকে নিয়ে অন্য আদালতে মামলা স্থানান্তরিত করলে বিচারে দেরি হবে, দেরি হবে ট্রায়ালেও"

শনিবার আসানসোল সিবিআই আদালেত এভাবেই কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ইডি-কে। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর প্রশ্নবাণে সেখানে কার্যত অসহায় হয়ে পড়েন ইডি-র আইনজীবী। অসহায় অবস্থায় বিচারকের সামনে কার্যত আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এর পর আদালতের কাছ থেকে আরও সময় চান ইডি-র আইনজীবী। আগামী ২ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola