Cattle Smuggling Case: স্কুল শিক্ষিকা হয়ে ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনার অর্থ পেলেন কোথায়! অনুব্রত-কন্যাকে প্রশ্ন সিবিআই-এর
Anubrata Mandal: এ নিয়ে কথা বলতে, গত ১৭ অগাস্টও সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতে বোলপুরের নিচুপট্টিতে পৌঁছয় সিবিআই। তবে সেদিন সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি অনুব্রত-কন্যা।
প্রকাশ সিনহা, আবির ইসলাম ও প্রদ্যোৎ সরকার, বোলপুর: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) মেয়েকে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। সিবিআই-এর একটি সূত্রের দাবি, সম্পত্তি সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে সুকন্যা মণ্ডলকে। তাঁর বয়ান খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর
গরুপাচার মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত। তিনি এবং তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, একই মামলায় জেলে রয়েছেন দু'জনই। এ বার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্য়াও। শুক্রবার তাঁকে প্রায় ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর, সম্পত্তি সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন অফিসাররা। গত ১১ অগাস্ট, বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআইI। সিবিআই সূত্রে দাবি, এরপর তদন্ত করে অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের নামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।
এ নিয়ে কথা বলতে, গত ১৭ অগাস্টও সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতে বোলপুরের নিচুপট্টিতে পৌঁছয় সিবিআই। তবে সেদিন সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি অনুব্রত-কন্যা।
সূত্রের খবর, এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার সকালে নোটিস নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের নিচুপট্টির বাড়িতে পৌঁছয় এক মহিলা অফিসার-সহ সিবিআই-এর টিম। আগের বার নোটিস না নিয়ে এলেও, এ বার নোটিস সঙ্গে করে নিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সুকন্যা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। ওই চাকরি করে ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনার অর্থ কোথা থেকে পেলেন, তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন গোয়েন্দারা।
এছাড়াও তিনি যে কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন, সেই কোম্পানির নামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। সেই টাকার উত্স নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সুকন্যার নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রচুর নগদ অর্থ জমা পড়েছে, সেই টাকার উত্স নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ১০ মিনিট থাকার পর, অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রত-কন্যাকে আংশিক জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সেই বক্তব্য খতিয়ে দেখে, ভবিষ্যতে তাঁকে ফের তলব করা হতে পারে।
এ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "আমরা কোন রাজ্যে বসবাস করছি? যে রাজ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একটাই আলোচনা হয় এই সরকারের চুরি ও দুর্নীতি নিয়ে। মানুষকে প্রতারণার ইতিহাস প্রতিদিন রচিত হচ্ছে।"
সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুডন চক্রবর্তী বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় যে বা যারা নেতা হয়েছে যে যত বড় নেতা হয়েছে সে তত বড় দুর্নীতিগ্রস্ত। শুধু চোর নয় ডাকাত। মুখ্যমন্ত্রী কেন প্রশ্রয় দিয়েছেন। আজ ধরা পড়ে যাচ্ছে বলে রাগ হচ্ছে।"
তবে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তাথ মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, "যেটা ভুল সেটা ভুল, যেটা ঠিক সেটা ঠিক। সিবিআই ও ইডিতে দক্ষ অফিসাররা আছে। দোষ করলে তদন্ত হবে। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে যেন ব্যবহৃত না হয়।'
অনুব্রত-কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে তরজা
সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাবদের পাশাপাশি, শান্তিনিকেতনে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করা হয় শ্রীগুরু রাইস মিলের প্রয়াত মালিক হারাধন মণ্ডলের ছেলে শ্যামল মণ্ডলকেও। অনুব্রত-কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বোলপুর পোস্ট অফিসেও যায় সিবিআই।