Anubrata Mondal: গ্রেফতার আরও এক হেভিওয়েট, অনুব্রত-অস্বস্তিতে কী পদক্ষেপ করবে তৃণমূল?
গরুপাচার মামলায় বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই সূত্রে দাবি, 41A ধারায় গরুপাচার মামলায় সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকাশ সিনহা ও আবীর ইসলাম, বোলপুর: গড়েই গ্রেফতার কেষ্ট। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর এবার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার জালে আরও এক হেভিওয়েট। একের পর এক ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে তৃণমূল (TMC)। জেলা সভাপতি থেকে জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য। তৃণমূলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন অনুব্রত। এবার কী করবে তৃণমূল (TMC)? পাশে থাকবে, না দূরত্ব তৈরি করবে? তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গ্রেফতার অনুব্রত: গরুপাচার (Cow Smuggling Case) মামলায় বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সিবিআই (CBI) সূত্রে দাবি, 41A ধারায় গরুপাচার মামলায় সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়েছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। গতকাল হাজিরা এড়ানোর পর এদিন সকাল ৯টা ৪০-এ আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা।
বাড়ি ঘিরল ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী: অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী (CRPF)। বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। বাড়ির সকলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়। তল্লাশির পাশাপাশি, দোতলার ঘরে অনুব্রতকে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই অফিসাররা। এরপর গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। মেডিক্যাল টেস্টের পর আজই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হতে পারে অনুব্রতকে। অন্যদিকে গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআইয়ের হানার খবর পেয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বোলপুরের বাড়ির সামনে সাতসকালেই ভিড় জমে যায়।
চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা: সিবিআই সূত্রে খবর, এর আগে গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের (Bolpur Mahakuma Hospital) চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারীর (Chandranath Adhikari) সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। আজ ওই চিকিত্সকের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত প্রভাব খাটিয়ে চিকিত্সককে দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। কার নির্দেশে ওই সরকারি চিকিত্সক বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাও জানতে চায় সিবিআই। খবর সূত্রের।
গরুপাচার মামলায় ১০ বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। ৯ বার হাজিরা এড়াল তৃণমূল জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়ান অনুব্রত। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন।