(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Alipurduar News: দাপুটে নেতাকে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরাতেই 'উচ্ছ্বাস', বাইক র্যালি তৃণমূল কর্মীদের
Block President Removed: দলের অন্দরে ও বাইরে দাপুটে নেতা বলে পরিচিত মনোরঞ্জন দে-কে আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত তৃণমূলেরই একাংশ।
অরিন্দম সেন,আলিপুরদুয়ার: দলের অন্দরে ও বাইরে দাপুটে নেতা বলে পরিচিত মনোরঞ্জন দে-কে আলিপুরদুয়ার (alipurduar) ১ নম্বর ব্লক সভাপতির (block president) পদ থেকে সরিয়ে (replaced) দিল তৃণমূল (TMC)। শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত তৃণমূলেরই একাংশ, হল বাইক র্যালি (Bike Rally)। যদিও বিজেপির (BJP) কটাক্ষ, ইডি ও সিবিআই হানার ভয়ে ওই নেতাকে কার্যত ঝেড়ে ফেলার পথে হাঁটল জোড়াফুল শিবির।
কী হয়েছে?
আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লক সভাপতি সঞ্জয় লামা এবং আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লক সভাপতি মনোরঞ্জন দে-কে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। সূত্রের খবর,আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লক সভাপতি থাকার পাশাপাশি জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতিও ছিলেন মনোরঞ্জন। কিন্তু গত কিছু দিন ধরে তাঁকে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরানোর দাবি উঠছিল দলের ভিতর থেকেই। শোনা যায়, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এলাকার তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তীকে হারানোর পিছনে কলকাঠি নেড়েছিলেন মনোরঞ্জন। তা ছাড়া বিভিন্ন অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে দাপুটে নেতার জন্য বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। তাই তাঁকে সরানোর পক্ষে মত ছিলই। রাজ্য কমিটির তরফে ব্লক সভাপতি পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্তে আপাতত তাই স্বস্তির হাওয়া দলের অন্দরেই, মনে করছেন স্থানীয়রা। কয়েক জন দলীয় কর্মী অবশ্য মনোরঞ্জনের বাড়িতে জড়ো হয়েছিলেন ৷ তবে অন্য অংশ আবার বাইক র্যালির মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। দলের সিদ্ধান্তে আক্ষেপ জানালেও তাকে স্বীকার করে নিচ্ছেন বলে জানান বিদায়ী ব্লক সভাপতি।
রাজনৈতিক চাপান-উতোর...
জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবী, গত চার মাস ধরে সমীক্ষার পরই রাজ্য নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা ছাড়া এক ব্যক্তি, এক পদ বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়েছে এখানে। অন্য কোনও কারণ নেই, দাবি তাঁদের। যদিও বিজেপি এই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ। গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মনের কটাক্ষ,'যারা টাকার জোগান দিত, ইডি-সিবিআই হানার ভয়ে তাদের বাদ দেওয়া শুরু করেছে তৃণমূল। এই কারনেই মনোরঞ্জন দে-কে সরিয়ে দিয়েছে। লক্ষ্য একটাই, যাতে বলতে পারে আগেই সরানো হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ জেনে গিয়েছেন, যা টাকা তোলা হয়েছে তার ৩ ভাগ কালিঘাটে গেছে। ফলে দায়িত্বমুক্ত করলেই যে দায় ঝেড়ে ফেলা যাবে এটা ভুল ভাবনা।' তরজার মধ্যেই আজ সাহেবপোতায় তৃণমূলের ব্লক অফিস খাঁ খাঁ করেছে ৷
আরও পড়ুন:টোটো দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু, গুরুতর জখম মা-সহ আরও ৩