East Midnapore: চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা! কাঠগড়ায় শিক্ষক, মামলা দায়েরের অনুমতি আদালতের
শিক্ষা থেকে খাদ্য়,অভিযোগ, বিভিন্ন দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক একজন চাকরিপ্রার্থীর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন এই শিক্ষক।
সৌভিক মজুমদার ও ঋত্বিক প্রধান, কলকাতা: চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা! চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ৫ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে কাঁথির এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীরা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা: চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা: যাঁর হাতে সমাজ গড়ার মতো গুরু দায়িত্ব, সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেই উঠেছে ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ। শিক্ষা থেকে খাদ্য়,অভিযোগ, বিভিন্ন দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক একজন চাকরিপ্রার্থীর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন এই শিক্ষক। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, প্রতারণার অঙ্কটা প্রায় ৫ কোটি।পূর্ব মেদিনীপুরের এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে শুক্রবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী।
তাঁদের অভিযোগ,২০১৮ থেকে, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীকে সরকারি দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় ৫ কোটি টাকা নিয়েছেন জুনপুটের বিচুনিয়া জগন্নাথ বিদ্যামন্দিরের ইংরেজির শিক্ষক দীপক জানা। অভিযোগকারীদের দাবি, শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ নয়, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং অন্য়ান্য় সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন অভিযুক্ত। এর মধ্য়ে অনেকেরই চাকরি হয়নি বলে অভিযোগ।এই নিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হলেও, কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি। শেষমেষ হাইকোর্টে মামলা দায়েরের অনুমতি চাইলেন চাকরিপ্রার্থীরা। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
অভিযোগকারী চাকরিপ্রার্থী চিরঞ্জিতকুমার দাস বলেন, “উনি আমাকে ফুড সাপ্লাইতে চাকরি করে দেবেন বলে ৪ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। আমার মা অসুস্থ ছিল, তখন আমি টাকা চেয়েছিলাম। স্য়র, আমার মায়ের ক্য়ানসার আছে, কিছু টাকা আমাকে রিটার্ন করুন। কোনও টাকাই আমাকে দেয়নি।’’ যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই শিক্ষক সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এরকম কোনও আমি কারও কাছ থেকে নিইনি। হয়ত কেউ কোথায় গিয়ে ফাঁসিয়ে কী করছে না করছে। আমার পিছনে লেগেছে। কোনও লেনদেন নেই। মামলা হলেই বোঝা যাবে। টাকা নিলে তো অ্যাকাউন্টে নেব। সেটা চেক করুক। আমাদের জ্ঞাতির হিংসা আছে, তারা হয়ত এটা করছে।’’ এদিন, মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: Job Scam: 'নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আলাদা র্যাকেট শান্তনুর', দাবি ইডির