Bhabanipur Murder Case: কীভাবে খুন ভবানীপুরের ব্যবসায়ী, কেন খুন ?
CM CP On Businessman Murder: 'ভবানীপুরের ব্যবসায়ীকে খুনের পর সিমেন্ট দিয়ে..', কী প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ?
কলকাতা: লোকসভা ভোটের আগে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড শহরে (Murder Case)। রাজ্যে এর আগেও একাধিক নৃশংস 'খুনের' ঘটনা ঘটেছে। বিরিয়ানী খাইয়ে শিশু খুনের ঘটনা থেকে শুরু করে খুনের পর টুকরো টুকরো করে ফেলার মতোও ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। তবে সেই সকল ঘটনাগুলির পর আরও একবার তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হল এ রাজ্যকে। শেষ অবধি অবধি পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ৫০ লক্ষ টাকা ফেরত চাওয়া নিয়েই নিমতায় ঘটে গিয়েছে এক হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। ভবানীপুরের ব্যবসায়ীকে টাকা দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। নিমতায় ব্যবসায়ীর অংশীদার অনির্বাণ গুপ্তর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতদেহ। নিহত ওই ব্যবসায়ীর নাম ভাবিয়া লাখানি। ভয়াবহতা এতটাই যে, প্রমাণ লোপাট করতে, জলের ট্যাঙ্কের নীচে বস্তাবন্দি দেহ ঢুকিয়ে রাতারাতি পাঁচিল পর্যন্ত তুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Vineet Kumar Goyal)।
'সুমন দাস মুখ খুলতেই...'
কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এদিন বলেন, 'পরশুদিন ওনারা বালিগঞ্জ থানায় ওনারা মিসিং ডাইরি করে আসেন। ভাবিয়া লাখানি মেডিসিনের ব্যবসা করতেন। উনি মিসিং হয়েছেন। তারপর থেকে আমাদের তদন্ত শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টেকনিক্যাল টিম, মিসিং পারসন স্কোয়াড (Missing Person Squad), পুলিশ স্টেশন সবাইকে অ্যাক্টিভেট করা হয়। এবং ওদের যে কনট্যাক্টগুলি ছিল, তার মাধ্যমে ওই অনির্বান গুপ্ত নামের লোক, যার সঙ্গে ওনাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল, তাঁকে থানাতে নিয়ে আসা হয়। তারপরে উনি, ব্রেক করেননি। এরপর ফের টেকনিক্যাল ইনটেলিজেন্স-এর ভিত্তিতে ওনার একজন সহকর্মীকেও আনা হয়। যার নাম সুমন দাস। সুমন দাস সবকিছু ব্রেক করেছে।ঘটনাটি নিয়ে যাবতীয় ডিটেলস আমাদের বলেছে। সুমন দাসকে যখন, অনির্বান গুপ্তকে নিয়ে যাওয়া হয়, তারপরেই অনির্বান গুপ্ত স্বীকার করেছে। এরপরেই মৃতদেহকে সংরক্ষণ করা হয়েছে।'
'এটা প্রিপ্ল্যানড মার্ডার..'
অনির্বান গুপ্ত, ওকে (ভাবিয়া লাখানি) প্রথমে ডেকে নিয়ে যায়। দুপুরে পৌছে যাওয়ার পর, অনুমান টাকা পয়সা নেওয়া দেওয়া নিয়ে বিষয়টা চলছিল। সেইসময় যাওয়ার সঙ্গে মার্ডার (ভাবিয়া লাখানি) করা হয়।এরপর দ্বিতীয় লোকটিকে ডেকে নিয়ে ট্যাঙ্কের নিচে, রেখে দিয়ে, চারদিক থেকে গেঁথে দিয়েছিল। এইটুকুই প্রাথমিক তদন্ত থেকে উঠে এসেছে। ইতিমধ্যেই হোমিসাইড এই তদন্তের দায়িত্বভার নিয়েছে। ময়নাতদন্তও ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অনির্বান গুপ্ত এবং সুমন দাস গ্রেফতার হয়ে গিয়েছে। যদি আরও কেউ এই ঘটনায় যুক্ত থাকেন , সেটা আমরা দেখছি, এবং আমরা ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। ময়নাতদন্তের পরে মৃতদেহ একটু পরে এখানেই আসবে। এবং এখনও অবধি যা যা তথ্য সামনে এসেছে, তাতে এটি প্রিপ্ল্যানড মার্ডার বলেই উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন, রানাঘাটে শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে প্রচার
'এরা ক্রিমিন্যাল নয়, ক্রিমিন্যালের থেকেও বড় ক্রিমিন্যাল..'
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা খুবই দুঃখিত। একটা দুঃখজনক খবর পেয়েছিলাম আজ সকালবেলায় শিলিগুড়িতে। যার জন্য আমি মিছিল বাতিল করে এখানে চলে এসেছি। যিনি অত্যন্ত সাধাসিধে মানুষ ছিলেন। ওষুধের দোকান ছিল। ওষুধের ব্যবসা করতেন। এবং তাঁর সঙ্গে ব্যবসা করতে একজন ডেকে নিয়ে যায়। এবং ডেকে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করছে। ওরা পরশুদিন সন্ধ্যাবেলায় মিসিং ডাইরি করে। এবং তারপরে পুলিশ তদন্তে নেমে কেসটি উদ্ধার করেছে। এবং শেষঅবধি ধরে ফেলে, যারা খুন করেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃতদেহ আসবে। আমার সান্বনা দেওয়ার কোনও ভাষা নেই। এরা ক্রিমিন্যাল নয়, ক্রিমিন্যালের থেকেও বড় ক্রিমিন্যাল।যারা এই ধরণের ক্রাইম করে, আমি মনে করি প্রিপ্ল্যানড মার্ডার। বলছে ট্যাঙ্কের উপরে পুরো সিমেন্ট লাগিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছে।'