Mamata Banerjee: হবু রাজ্যপালকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর, আলোচনা শপথগ্রহণ নিয়েও
C V Ananda Bose: বাংলার হবু রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়েও কথা হয় দু’জনের মধ্যে।

বিজেন্দ্র সিংহ, সুদীপ্ত আচার্য ও অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: বাংলার হবু রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোসকে (C V Ananda Bose) ফোন (Call) করলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান (Oath Taking) নিয়েও কথা হয় দু’জনের মধ্যে। একজন সম্মানিত ও নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখি, প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন হবু রাজ্যপাল।
প্রেক্ষাপট...
বাংলার নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন প্রাক্তন আমলা সি ভি আনন্দ বোস। তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়েও কথা হয় হবু রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে নতুন রাজ্যপাল আগেই বলেছেন, 'এটি একটি মহান রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের কাজে লাগতে পারব ভেবে দারুণ লাগছে। আমি রাজ্যপালের পদকে মোটেও বড়সড় কোনও পদ বলে মনে করি না। বরং রাজ্যবাসীর উন্নয়নে যাতে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারি, সেই সুযোগ এটি।' সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর দূত হিসেবে হবু রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন দিল্লিতে বাংলার প্রিন্সিপাল রেসিডেন্ট কমিশনার আর ডি মিনা। অভিবাদন জানিয়ে হাতে তুলে দেন ফুলের তোড়া। বিকেল চারটে নাগাদ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ সারেন বাংলার হবু রাজ্যপাল। বিকেল পাঁচটা নাগাদ সি ভি আনন্দ বোসকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কবে শপথ নিতে চান, সেই সময়ই সম্ভবত জানতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথগ্রহণের জন্য ২১ এবং ২৩ নভেম্বর - এই দুটি দিন নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর।
আপাতত যা খবর...
সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী নতুন রাজ্যপালকে বলেন, তিনি শপথের দিন ঠিক করুন। বাকি শপথগ্রহণের যাবতীয় আয়োজন সরকার করবে। অন্যদিকে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছেন নতুন রাজ্যপালও। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি একজন শ্রদ্ধেয় ও নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখি। আমার মন খোলা। নিরপেক্ষতা রেখেই ওঁর সঙ্গে কাজ করব। যদি রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী সংবিধানের সীমার মধ্যে থাকেন, তা হলে কোনও সমস্যাই হবে না।' প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে নানা ইস্যুতে সংঘাত বেধেছিল রাজ্য সরকারের। সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন ভাবী রাজ্যপাল। বলেছেন, 'রাজনীতিবিদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই রাজ্যপালের একমাত্র বিবেচনার মানুষ। দুটি সম্পূর্ণ আলাদা সত্ত্বা।' বিষয়টি নিয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া,' সৌহার্দ্য বজায় থাকলে ভাল।' অন্য দিকে তৃণমূলের বক্তব্য, 'নিরপেক্ষতা আশা করব।' সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী হবু রাজ্যপালকে ফোনে জানান, দিল্লির বঙ্গভবনে রাজ্য সরকারের একাধিক আধিকারিক থাকেন। তাঁর যে কোনও প্রয়োজনে তিনি যেন আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আরও পড়ুন:দক্ষিণবঙ্গের দুঃখ ছিল, পাহাড় নেই। তৃণমূল নেতার বাড়ি গেল টাকার পাহাড় দেখা যাবে: সেলিম


















