Koustav Bagchi: 'শুভেন্দু অধিকারী আমার কাছে অচ্ছুৎ নন', বললেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী
BJP MLA Suvendu Adhikari:কংগ্রেসের মধ্যে অন্য সুর?'শুভেন্দু অধিকারী আমার কাছে অচ্ছুৎ নন', বললেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: কংগ্রেসের মধ্যে অন্য সুর?'শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আমার কাছে অচ্ছুৎ নন', বললেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর (Congress Leader Koustav Bagchi)। সঙ্গে সংযোজন, 'বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। বিজেপিতে থেকে শুভেন্দু অধিকারী সবটা করতে পারছেন না, এর জন্য একটি বিকল্প রাজনীতি প্রয়োজন।'
আর কী?
এর পরই তাঁর কটাক্ষ, 'আমাদের সময় একজন বিরোধী দলনেতা ছিলেন, মানুষ জানতই না। এখন বিরোধী দলনেতা কে মানুষ জানেন, বিরোধী দলনেতার পারফরমেন্সকে ছোট করে দেখা যাবে না। 'তৃণমূলকে উৎখাত করার জন্য আমার কাছে শুভেন্দু অচ্ছুৎ নন। বিজেপির সঙ্গে মতান্তর থাকতেই পারে, কিন্তু শুভেন্দু অচ্ছুৎ নন।' সঙ্গে ইঙ্গিত,'ধৈর্য ধরুন, ইন্টারেস্টিং পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে রাজনীতি।' কী ইঙ্গিত রইল তাঁর কথায়? দানা বাঁধতে শুরু করেছে জল্পনা।
এর আগেও একাধিক বার নানা প্রসঙ্গে অসন্তোষের সুর ধরা পড়েছে কংগ্রেসের এই আইনজীবী নেতার গলায়। এর মধ্যে একেবারে হালে, ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে আরও একবার আলোড়ন তৈরি হয়ে যায়। কৌস্তভ লিখেছিলেন,
'কলকাতায় চোর, মুম্বইতে সাধু।
ফলাফল = ধূপগুড়ি
যাই হোক সমুদ্র জিতেছে।
পুকুর হারলে ক্ষতি কি!'
নাম না করলেও ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয় এবং সিপিএম-কংগ্রেস জোটের মুখ থুবড়ে পড়ার পর সোশ্য়াল সাইটে তাঁর কটাক্ষের মূল লক্ষ্য ঠিক কারা, সেটা অনেকের কাছেই স্পষ্ট হয়ে যায়। পাটনা, বেঙ্গালুরু কিংবা মুম্বই-সহ 'ইন্ডিয়া' জোটের যে কোনও মঞ্চেই, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের একসঙ্গে থাকার তীব্র বিরোধী কৌস্তভ। উল্টোদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীরা বাংলায় তৃণমূল কট্টর বিরোধিতায় অনড় থাকলেও, জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে তৃণমূল নিয়ে হাইকম্য়ান্ডের অবস্থানের প্রকাশ্য়ে সমালোচনা করতে নারাজ। এই প্রেক্ষাপটেই এক সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী বলেন,'পুকুর এবং নদীর মধ্যে ফারাক আছে। আমার কাছে বাংলা হল পুকুর। আর ভারত হল নদী।' সেই মন্তব্যের পর ধূপগুড়ির উপনির্বাচনর ফলাফল সিপিএম-তৃণমূল জোটের ধরাশায়ী হয়ে যাওয়া ও কৌস্তভের সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্ট, অর্থ বুঝতে অসুবিধা হয়নি রাজনৈতিক মহলের।
এদিন যা বললেন....
কংগ্রেস নেতা এদিন আরও বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে একটা বিকল্প রাজনীতির খুব প্রয়োজন। তৃণমূলকে হঠানো যে রাজনীতির একমাত্র লক্ষ্য হবে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার, এই গণতন্ত্র-হত্যাকারী সরকার, এর জন্য একটা বিকল্প রাজনীতি দরকার।' এর পরই তাঁর সংযোজন, 'আমি আগে এটাও বলেছি, বিরোধী দলনেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজকর্ম থেকে শেখা উচিত। তেমন বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর যে ভূমিকা পালন করছেন, সেই ভাবমূর্তিই তো থাকা উচিত। বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দুর ভূমিকা সংশয়াতীতভাবে প্রশংসনীয়।' তা হলে কি দু'জনে কাছাকাছি আসছেন? যদি তৃণমূল-বিরোধী কোনও অ-রাজনৈতিক অবস্থান থাকে, তা হলে তাঁর কোনও ছুঁৎমার্গ নেই, জানিয়ে দিলেন কৌস্তভ। সেটা কী, কবে হবে? বলবে সময়।