Purba Medinipur:খেজুরি থেকে ফেরার সময় শিশির অধিকারীর গাড়িতে হামলা, ভাঙল উইন্ডস্ক্রিন
Sisir Adhikari: খেজুরি থেকে ফেরার সময় শিশির অধিকারীর গাড়িতে হামলা। কাঁথি ফেরার সময় হেঁড়িয়ায় গাড়িতে হামলা চলে বলে অভিযোগ। সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিতে উইন্ডস্ক্রিনও ভেঙে যায়।
ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: খেজুরি (Khejuri) থেকে ফেরার সময় শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) গাড়িতে হামলা। কাঁথি ফেরার সময় হেঁড়িয়ায় গাড়িতে হামলা চলে বলে অভিযোগ। সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিতে উইন্ডস্ক্রিনও ভেঙে যায়। গাড়ির সামনের কাচ ভাঙলেও, কোনও ক্ষতি হয়নি শিশির অধিকারীর। তবে খেজুরি থানার পুলিশের দাবি, এখনও পর্যন্ত এরকম কোনও খবর নেই।
অতীত...
সাংসদের কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘিরে গত জুনে তীব্র তোলপাড় পড়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। সে বার ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা চলে। গড় শালবনিতে অভিষেকের কনভয়ের যাত্রাপথে কুড়মি বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। সেই ঘটনায় আগেই কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি ও শিক্ষক নেতা রাজেশ মাহাতো-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কুড়মি সমাজের আরও এক প্রতিনিধিকে গ্রেফতার করেছিল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। ধৃতের নাম ধনঞ্জয় মাহাতো ওরফে জয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন জয় মাহাতো। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়। তবে এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়।দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ কুমারের প্রামাণিকের কনভয়েও হামলা চলেছিল বলে অভিযোগ। তার আগে,গত বছর মার্চ মাসে বোমাবাজি চলেছিল হরিণঘাটার বিজেপি সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করেও।
২০২২ সালের মার্চের ঘটনা। কল্যাণী থেকে বাড়ি ফেরার সময় বিজেপি সাংসদের উপর ‘হামলা’-র ঘটনা নিয়ে কম আলোড়ন হয়নি। হরিণঘাটায় বিজেপি সাংসদ, জগন্নাথ সরকারের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। বিজেপি সাংসদের গাড়ির ঠিক পিছনেই বোমা পড়েছিল বলে দাবি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনেন বিজেপি সাংসদ। তার আগে, ২০২১ সালের এপ্রিলে কোচবিহারের শীতলকুচিতে দিলীপ ঘোষের গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। সে বার সভা করে ফেরার পথে তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সভাপতির কনভয়ে হামলা চলেছিল বলে দাবি। হামলার পরে ব্যাপক বোমাবাজিও হয়েছিল বলে শোনা যায়। সবের জন্যই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে বিজেপির। দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'প্রায় ১০০-র বেশি লোক ঘিরে ধরেন।' একই সঙ্গে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তোলেন তিনি। যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য ছিল, আদি বিজেপি এবং নব্য বিজেপির সংঘাতের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন:বিক্রমের 3D ছবি তুলল প্রজ্ঞান! কেমন দেখতে লাগছে ল্যান্ডারকে?