Professor Arrested: শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার অধ্যাপক, যাদবপুরের হুমকি-চিঠিতেও নাম জড়িয়েছিল তাঁর
Professor Rana Roy Arrested: ওড়িশার ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে অধ্যাপক রানা রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কোচবিহার: কোচবিহারের অধ্যাপক রানা রায় গ্রেফতার (Professor Rana Roy Arrested)। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে প্রাণনাশের হুমকি-চিঠিতে নাম জড়িয়েছিল রানা রায়ের। যদিও এবার অন্য় একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে টালা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় ওড়িশার ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে অধ্যাপক রানা রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)।
মূলত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) রেজিস্ট্রার, জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে প্রাণনাশের হুমকি (Threat letter) চিঠির তদন্তে উঠে আসে ওই অধ্যাপকের নাম। জানা যায়, হুমকি চিঠিতে প্রেরক হিসেবে জনৈক রানা রায়ের নাম রয়েছে। মূলত রানা রায় হলেন কোচবিহারের অধ্যাপক। এরপরেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। তবে তিনি এই চিঠি পাঠাননি বলেই দাবি করেছিলেন অধ্যাপক রায়। তাহলে এবার প্রশ্ন উঠছে কে পাঠাল এই চিঠি ? উত্তর খুঁজতে জিপিও-র দ্বারস্থ হয় পুলিশ। এদিকে এরই মধ্যে টালা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে এবার অধ্যাপক রানা রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ।
সম্প্রতি যাদবপুরে রেজিস্ট্রার ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে খুনের হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নিরাপত্তা চেয়ে থানায় এনিয়ে অভিযোগ জানান ২ আধিকারিক। মূলত যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় (JU Student Death) সৌরভ চৌধুরী নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর সেই সৌরভের কোনও ক্ষতি হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চিঠি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
জানা গিয়েছে, সৌরভ চৌধুরী পাশ করে গেলেও তিনি হস্টেলেই থাকতেন। স্বপ্নদীপের বাবার মুখে বারবার উঠে এসেছে এই সৌরভের নাম। তিনি সরাসরি সৌরভের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছেন। তদন্তে নেমে এরপরেই সৌরভকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রর রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছিল। তারপর থেকে দফায় দফায় চলেছিল জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন, সংঘাতের আবহেই বাকি ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের
পুলিশ সূত্রে খবর,'মেন হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রকে সামনে বসিয়েই লেখা হয়েছিল চিঠি, জোর করে তাকে দিয়ে সই করানো হয় চিঠিতে'। মানসিক নির্যাতন করার সময় প্রাক্তনী সৌরভ, মনোতোষ, দীপশেখরের সঙ্গে ছিল আরও অনেকে। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অজ্ঞাত পরিচয়দের হদিশ পাওয়ার চেষ্টায় পুলিশ (Police)। সূত্র মারফত খবর,'যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ছাত্রের মানসিক হেনস্থা পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে', ধৃতদের জেরা করে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।