Saline Controversy: বাইরে থেকে কিনে আনতে হবে স্যালাইন! এবার বিতর্কে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতাল
Coochbehar News: বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি নিষিদ্ধ স্যালাইন।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: নিষিদ্ধ বিতর্কিত RL স্যালাইন, বিকল্প কী? এবার তুফানগঞ্জ হাসপাতালে স্যালাইনের সঙ্কট। রোগীর পরিবারের দাবি, স্যালাইন কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে। যদিও পাল্টা CMOH দাবি করেছে, যথেষ্ট পরিমাণে ওষুধ আছে।
এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তিনজন এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি নিষিদ্ধ স্যালাইন। এই আবহে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে আবার রোগীদের বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনতে বলা হচ্ছে বলে দাবি করলেন রোগীর পরিজনরা। এক রোগীর আত্মীয় আজহার শেখের অভিযোগ, "হাজার টাকা নিয়েছে। বলল বাইরে থেকে কিনতে।'' আরেক রোগী নেপাল দেবনাথ বলেন, "বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।'' পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি ওষুধের স্টক সরানোর পর হাসপাতালে যে পর্যাপ্ত স্যালাইন নেই, তা স্বীকার করেছেন চিকিৎসকরাও। যদিও, কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, কোথাও কোনও সঙ্কট নেই। কেন রোগীর পরিবারকে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে পাঠানো হল, তা জানতে চাওয়া হবে সুপারের কাছে।
সূত্রের খবর, মেদিনীপুর মেডিক্য়ালের ঘটনায় 'রিঙ্গার ল্যাকটেট' স্য়ালাইনের শুদ্ধতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে তদন্ত কমিটি। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য় ভবনে পেশ করা তদন্ত কমিটির ৫ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'রিঙ্গার ল্যাকটেট' বিশুদ্ধ না হওয়াই বিপত্তির কারণ বলে তাদের সন্দেহ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রসূতিদের অসুস্থতার কারণ হিসেবে, 'RL ইনফিউশন' এবং 'অক্সিটোসিন ইঞ্জেকশনে'র ভূমিকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তদন্ত কমিটির কাছে মেদিনীপুর মেডিক্য়ালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গত বুধবার, ৮ তারিখ, রাত ১০টা ৫০ থেকে ভোর ৬টা ৫০, ৮ ঘণ্টায় ৭টা ডেলিভারি হয়। সূত্রের খবর, এই ৭ প্রসূতির মধ্য়ে ২ জনের ক্ষেত্রে দেখা যায়, 'রিঙ্গার ল্য়াকটেট' প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে জটিলতা শুরু হয়েছে। তারপর আরও ৩ জনকে দেওয়া হয় এই একই স্য়ালাইন। তাঁদের ক্ষেত্রেও যখন একই জটিলতা তৈরি হয়, তখন ঝুঁকি না নিয়ে বাকি ২ প্রসূতির পরিবারকে বাইরে থেকে স্য়ালাইন কিনে আনার কথা বলা হয়। সূত্রের খবর, কমিটির তদন্তে এও উঠে এসেছে যে, মেডিসিন বিভাগের রোগীদের ক্ষেত্রেও RL স্যালাইন প্রয়োগের পরই জ্বর এবং কাঁপুনি সমস্যা দেখা গেছে। সূত্রের খবর, তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, প্রসূতিদের সমস্যা বাড়িয়েছে 'অক্সিটোসিনে'র অতিরিক্ত ব্যবহার। ৫ জন রোগীর ক্ষেত্রেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত মাত্রায় 'অক্সিটোসিন' দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Tiger Fear: ফের বাঘের পায়ের ছাপ! ভয়ে কাঁটা মৈপীঠ, আতঙ্ক পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামেও