Coochbehar News: '৫ লক্ষ টাকা তোলা দেননি', তৃণমূল নেতার লোকজন এসে যে কাণ্ড ঘটাল; ব্যবসায়ীর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল
TMC: ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ী। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আলম মিঞা।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : কোচবিহারে তোলা না দেওয়ায় জেসিবি দিয়ে দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ। তোলা না দেওয়ায় জেসিবি দিয়ে দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ী। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আলম মিঞা।
কী ঘটনা ?
কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের হাঁড়িভাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত ভবেরবাজার এলাকার স্থানীয় এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, গতকাল রাতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির লোকজন এসে ওই বাজারে থাকা তাঁর দোকান জেসিবি দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, জমি নিয়ে বিবাদ। তাঁর এক আত্মীয় সেটি নিজের জমি বলে দাবি করে তৃণমূলের কাছে বিচার চাইতে যান। এরপর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি এবং তাঁর লোকজন তখন ওই ব্যবসায়ীকে বলেন, ৫ লক্ষ টাকা দিলে জমিটি তাঁদের নামেই থাকবে। যদিও ওই ব্যবসায়ীর দাবি, জমির সমস্ত কাগজপত্র তাঁদের নামেই রয়েছে। জোর করে তৃণমূলের মাধ্যমে তা দখন করতে চাইছেন তাঁর আত্মীয়রা।
এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ জানাতে যান। যদিও প্রথম দিকে তাঁর অভিযোগ নেওয়া হয়নি। ফের তিনি থানায় যান। থানায় অভিযোগ নেওয়া হলেও, তাঁকে কোনও রিসিভড কপি দেওয়া হয়নি।
এই খবর জানতে পারলে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির লোকজন গতকাল রাত ২টো নাগাদ জেসিবি নিয়ে এসে দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়ষ দোকানের সামগ্রী লুঠপাটের অভিযোগও উঠেছে। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায়।
গতকালই চাঁদা না দেওয়ায় শিলিগুড়িতে পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় ! অভিযোগ, এক ব্যক্তির কাছে ৫০০ টাকা চাঁদা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তা না মেলায় হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। দাবিমতো চাঁদা না দেওয়ায় প্রায় ৮ জন দুষ্কৃতী হামলা চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহম্মদ জহুরীর। পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে তোলাবাজি। এনিয়ে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কী ঘটনা ?
৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। এটি শিলিগুড়ি পুরসভার একেবারে প্রান্তিক এলাকা। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মহম্মদ জহুরী বাড়ির সামনে বসেছিলেন। সেই সময় ৮ থেকে ১০ জন আসে। ৫০০ টাকা চাঁদা চায়। চাঁদা দিতে হবে বলে জোর করে তারা। অভিযোগ, তা না দিতে চাওয়ায় তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। তারমধ্যেই মারধর, লাথি, ঘুষি। এরপর আহত অবস্থায় মহম্মদ জহুরীকে বাড়ির লোকজন হাসপাতালে নিয়ে এলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃতের বয়স ৫৫। তিনি আঘাত সহ্য করতে পারেননি।