Coochbehar: পাইপ ফেটে বিপত্তি, ১৫ দিন ধরে পানীয় জল নেই কোচবিহারে, প্রতিবাদে পথে বাসিন্দারা
Coochbehar News: কোচবিহারের গুড়িয়াহাটির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বর্মন বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে জল জমার সমস্যা চলছে। এর মধ্যে জলের পাইপ ফাটানোয় ১৫ দিন ধরে পানীয় জল পাচ্ছি না। জল কিনে খেতে হচ্ছে।'
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: বৈশাখের শুরুতেই চাঁদিফাটা গরম। এরই মধ্যে কোচবিহারে (Coochbehar) ১৫ দিন ধরে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ। প্রতিবাদে (protest) পথে নামলেন ভুক্তভোগীরা। এলাকায় নিকাশির সমস্যা রয়েছে। তার কাজ চলাকালীন জলের পাইপ (water pipe) ফেটে যায়। তাতেই বেড়েছে ভোগান্তি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি।
রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি
রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। অথচ এই গরমের মধ্যেই কোচবিহার শহর লাগোয়া এলাকায় দিন পনেরো ধরে পানীয় জল মিলছে না বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে পথে নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ছবি গুড়িয়াহাটি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচতালতলা গ্রামের।
স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন এলাকায় নিকাশি বেহাল। তাই বছর দুয়েক ধরে জল জমার সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে। সম্প্রতি জেলা পরিষদের তরফে নর্দমা তৈরির কাজ শুরু হলে জলের পাইপ ফেটে যাওয়ায় পানীয় জলও বন্ধ হয়ে যায়। খাওয়ার জল মিলছে না প্রায় ১৫ দিন ধরে।
কোচবিহারের গুড়িয়াহাটির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বর্মন বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে জল জমার সমস্যা চলছে। ড্রেনটাও অপরিকল্পিতভাবে বানানো হয়েছে। এর মধ্যে জলের পাইপ ফাটানোয় ১৫ দিন ধরে পানীয় জল পাচ্ছি না। জল কিনে খেতে হচ্ছে।'
অপর বাসিন্দা মায়া বর্মনের কথায়, 'একদিকে রাস্তা খারাপ, অন্যদিকে জল নেই। একটা বাড়িও বাদ নেই যেখানে জল ঢোকেনি। বাচ্চা নিয়ে বের হতে পারি না। অন্যদিকে প্রধান বা পঞ্চায়েত কেউ দেখে না।'
জল সমস্যা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক টানাপোড়েন
জল-সমস্যার সমাধান হওয়ার আগেই শুরু হয়েছে রাজনীতির দড়ি টানাটানি। কোচবিহারের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, 'এখানে সব গ্রামেই এক অবস্থা। মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী। পঞ্চায়েতে অঢেল টাকা আসছে কিন্তু সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে কেউ জানে না।'
কোচবিহারের গুড়িয়াহাটি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও প্রধান কমল দে বলেন, 'গতবারও চেষ্টা করেছিলাম সমস্যা সমাধানের। এবার একটা পরিকল্পনা নিয়েছি, মানুষ এগিয়ে এলে কাজটা মাস দুয়েকের মধ্যে হয়ে যাবে।'
এদিন পঞ্চায়েত প্রধান ও পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠলেও, সমস্যা না মিটলে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।