Coochbehar News: বছরে একবারই তৈরি এই 'বিশেষ' জিলিপি! খেতে হলে যেতে হবে এখানে
Cooch Behar Rash Mela: বাসি হলেও মুচমুচে! মুখে দিলেই গলবে মনও। কিন্তু এমন নাম কেন?
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: মুচমুদে স্বাদ-মুখে দিলেই যেন রসের বিস্ফোরণ। বাঙালির (Bengal Sweet) বাঙালিত্ব প্রমাণ করতে পারে যে কয়েকটি খাবার-সেই তালিকায় প্রথমদিকেই থাকবে জিলিপি (Jilipi)। কিন্তু এখন যে জিলিপির কথা বলা হচ্ছে, তা যেমন-তেমন জিলিপি নয়। এর নাম ভেটাগুড়ির জিলিপি (Jalebi)। যে কোনও জায়গায় পাওয়াও যায় না। এই জিলিপির স্বাদ পেতে গেলে যেতে হবে কোচবিহারের রাসমেলায়।
নাগরদোলা, পাঁপড়, যাত্রাপালা, রকমারি সাজার জিনিস আর রকমারি খাবার। বাংলার যে কোনও প্রান্তের মেলায় গেলেই চোখে পড়ে এইগুলি। এক একটি মেলায় বদলে বদলে যায় খাবার- তেমনই হল কোচবিহারে রাসমেলা। আর এই মেলারই অন্যতম আকর্ষণ ভেটাগুড়ির জিলিপি। দুশো বছর পেরিয়েছে কোচবিহারের (Cooch Behar Rash Mela 2023) রাসমেলার বয়স। এবার ২১১তম বছরে পা রেখেছে এই মেলা। বলা হয়ে থাকে, উত্তর-পূর্ব (North East India) ভারতের সবচেয়ে বড় এই মেলা। রাজ্যের নানা জেলা তো বটেই, পড়শি রাজ্য থেকেও এই মেলায় আসেন উৎসাহীরা।
কী রয়েছে এই জিলিপিতে?
জেলার বাসিন্দাদের দাবি, এই জিলিপির অন্যতম বৈশিষ্ট্য এর স্বাদ। এমন মুচমুচে জিলিপ নাকি অন্য কোথাও মেলে না। শুধুমাত্র রাসমেলাতেই মেলে ভেটাগুড়ি (Vetaguri)) জিলিপি। এর আরও একটি ইউএসপি (USP) রয়েছে। এই জিলিপি নাকি শুধুমাত্র রাসমেলাতেই পাওয়া যায়। কারণ এই জিলিপির কারিগরেরা শুধুমাত্র রাসমেলাতেই এক জায়গায় আসেন। সারা বছর অন্য কাজ করেন এই কারিগরেরা। প্রতিবছর এই মেলায় নাকি গড়ে অন্তত ২৫০০ কেজি জিলিপি বিক্রি করেন বিক্রেতারা।
এখন এই মেলায় ভেটাগুড়ির জিলিপি বিক্রি করেন অসিত নন্দী। তিনপুরুষ ধরে এই মেলায় জিলিপি বিক্রি করছেন তিনি। তাঁর ঠাকুরদা বিধুভূষণ নন্দী প্রথম কোচবিহারের রাসমেলায় ভেটাগুলির জিলিপি নিয়ে এসেছিলেন বলে দাবি অসিতের। তারপর থেকে প্রতিবছর রাসমেলায় বসছে তাঁদের ভেটাগুড়ির জিলিপির দোকান। এই বছর এখনও পর্যন্ত ১০টি উনুন চালু করা হয়েছে এই মেলায়। ভিড় আরও বাড়তে পারে, তখন ১৪টি উনুনে একসঙ্গে তৈরি হবে জিলিপি, জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।
নাম-রহস্য়:
সন্ধে নামলেই ভিড় বাড়ছে মেলায়, লাইন দিয়ে ওই বিশেষ জিলিপি কিনছেন ক্রেতারা। দোকানের কর্ণধার অসিত নন্দী বলেন, ''আমার ঠাকুরদা প্রথম রাসমেলায় জিলিপি বিক্রি শুরু করেন। তাঁর সেই সময় মিষ্টির দোকান ছিল ভেটাগুড়িতে। সেই থেকেই নাম হয়েছে ভেটাগুড়ির জিলিপি।'
এখন আর মিষ্টির দোকানের ব্যবসা নেই নন্দী পরিবারের। তাঁরা অন্য নানা ব্যবসা করেন। শুধুমাত্র রাসমেলাতেই সবাই মিলে একসঙ্গে এসে জিলিপি বিক্রি করেন। অসিত নন্দীর চ্যালেঞ্জ, অন্য কোথাও এই জিলিপি মিলবেই না, কারণ এর রেসিপি (Jalebi Recipe) বাকিদের থেকে একেবারে আলাদা। তাই রাত কাবার করে পরদিনও সকালেও একেবারে মুচমুচে থাকবে এই জিলিপি, জানাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: PoK থেকে আসা শরণার্থী থেকে পণ্ডিত সম্প্রদায়! উপত্যকায় সংরক্ষণের রাস্তায় কেন্দ্র!