Bikash Bhattacharya : 'দুর্নীতি একটু কম করুন, টাকা ফেরত দিয়ে দিন, আর মেধার ভিত্তিতে চাকরি দিন', নিয়োগ-তরজায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা বিকাশের
Mamata Banerjee : 'আপনার যদি অসুবিধা হয় তাহলে ছেড়ে দিন, আমি করে দিচ্ছি'। আক্রমণ সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য-র।
কলকাতা : নিয়োগ-তরজা ঘিরে আরও চড়ল রাজনৈতিক উত্তাপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আক্রমণের পাল্টা তাঁকে ঝাঁঝালো কটাক্ষে বিঁধলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এদিন আসানসোলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর তাঁকে আক্রমণের প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'মেধাতালিকা মেনে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হয়নি। তাই ১৭ হাজার সংখ্যাটা ওনার মাথায় রয়েছে। কারণ উনিও ভালভাবেই জানেন তৃণমূলের ধামা ধরে ও টাকা দিয়ে চাকরি হয়েছে।'
সুর চড়ালেন বিকাশ
পাশাপাশি চড়া সুরে আক্রমণ শানিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর (Bikash Ranjan Bhattacharya) সংযোজন, 'মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে চাইব দুর্নীতি একটু কম করুন, যারা টাকা দিয়েছেন তাঁদের টাকা ফেরত দিন আর মেধার ভিত্তিতে চাকরি দিন। আর আপনার যদি অসুবিধা হয় তাহলে ছেড়ে দিন, আমি করে দিচ্ছি।' এদিন আসানসোলের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বাম (Left) শিবির ও চাকরিপ্রার্থীদের বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণ
আসানসোলের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি নয়, আদালতে আপনারা গেছেন। আমাদের না বলে, যাঁরা কোর্টে কেস করিয়েছেন, আপনাদের হয়ে যাঁরা সিপিএমের আইনজীবী দাঁড়িয়েছেন, বিকাশবাবুদের বলুন, বিকাশবাবু আপনার তো পয়সার অভাব নেই, আপনি কেস করে আমাদের ছেলেমেয়েদের চাকরি বন্ধ করে দিলেন আপনার তো টাকার অভাব নেই। আপনি যেমন আমাদের চাকরি বন্ধ করেছেন, আপনি আবার আমাদের চাকরি চালু করুন।
সিপিএমের কটাক্ষ:
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী এত অসত্য কথা বললে কিছু বলার নেই। ওঁর ১৭ হাজার চাকরি কোথায় কোর্ট বন্ধ করেছে? যে চাকরিগুলি ইন্টারভিউ ছাড়া, দুর্নীতি করে দেওয়া হয়েছে। সেটা হতে পারে না। দুর্নীতি করে যাঁদের দিয়েছেন সেটা বন্ধ করে যোগ্যদের চাকরি দিন। এটাই তো কোর্ট বলেছে। শিক্ষামন্ত্রীই বলেছেন সাড়ে তিন লক্ষ শূন্যপদ।' শিক্ষক-দুর্নীতি মামলায় অন্যতম আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'চাকরি মানে টাকা পয়সা নিয়ে চাকরি দেওয়া নয়। পশ্চিমবঙ্গে যতগুলো শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, সবকটিতে দুর্নীতি সামনে এসেছে। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী এসব বলছেন।'