Cyclone Dana Live Updates: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গ, ক্ষয়ক্ষতির সমীক্ষা করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
Cyclone Dana Live Updates Kolkata: ঝড়ের দাপট না থাকলেও বৃষ্টিতে ভাসছে দক্ষিণবঙ্গ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। উপকূলবর্তী এলাকায় ৮০ থেকে ৯০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
বাঁকুড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। জয়পুরে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে দলের একাংশকে গদ্দার বলে আক্রমণ করেন তৃণমূলের যুব সভাপতি সুব্রত দত্ত ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। গদ্দারদের দল থেকে বের করার হুঁশিয়ারিও দেন দু'জনে। এই মন্তব্য দুই নেতার ব্যক্তিগত মত বলে জানিয়েছেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যদিও এখনও নিজেরদের মন্তব্যে অনড় সুব্রত দত্ত ও সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। দলে থাকা গদ্দারদের জন্য ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণপুরে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। দল বিষয়টি জানে বলেও দাবি দুই নেতার।
আর জি কর মেডিক্যালে ১৪ অগাস্ট রাতে হামলা, ফের শুভেন্দুর নিশানায় অতীন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ করেছিলেন অতীন ঘোষ, দাবি শুভেন্দুর। ২১-এর ভোটের আগে বিজেপিতে আসতে চেয়েছিলেন অতীন ঘোষ, দাবি শুভেন্দুর। 'কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় তৃণমূল টিকিট না দিলে বিজেপির হয়ে লড়তেও চেয়েছিলেন'
দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর, এ বিষয়ে অতীন ঘোষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
ডেবরায় জলের তোড়ে ভাঙল কাঁসাই নদীর উপরে থাকা অস্থায়ী সেতু। ঘটনাটি গতকাল সকালে ডেবরা ব্লকের ৪ নং খানামোহন অঞ্চলের খানামোহন নদী ঘাট এলাকায়। ডেবরা থেকে কেশপুর যাওয়ার জন্য কাঁসাই নদীর উপর এই অস্থায়ী সেতু ছিল। গতকাল সকালে ওই বাঁশের সেতু দিয়ে নিত্যযাত্রীরা যাতায়াত করছিল হঠাৎ জলের তোড়ে ভেঙে ভাসিয়ে নিয়ে যায় বাঁশের সেতুটিকে। নদীতে ঝাঁপ দিয়ে একজন প্রাণে বাঁচেন। আজ সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। পুজোর আগেই আরও একটি ঘটনার মুখোমুখী হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর। যদিও সেবার অভিযোগের আঙুল উঠেছিল ম্যানমেড বন্যার দিকে।সেবার ভেঙেছিল কাঁসাই নদীর বাঁধ। হুহু করে জল প্রবেশ করছিল গ্রামে, রাতে দিশেহারা একাধিক এলাকার মানুষজন। দাসপুরে কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় ছিল দাসপুরের একের পর এক গ্রাম।
জমা জলে 'বিদ্যুৎস্পৃষ্ট' হয়ে ভবানীপুরে যুবকের মৃত্যু। ভবানীপুরের জাস্টিস দ্বারকানাথ রোডে যুবকের মৃত্যু। দোকানের পাশে পাঁচিলে হাত দিতেই ব্যবসায়ীর মৃত্যু। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই সৌরভ গুপ্ত নামে যুবকের মৃত্যু, দাবি স্থানীয়দের। এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত পুরসভা কিংবা CESC-র প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
দানার জেরে, প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গ। প্রায় সোয়া ২ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। দুর্গতদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে। বললেন মুখ্য়মন্ত্রী। কৃষিতে ক্ষতিগ্রস্তদেরও আর্থিক সাহায্য় ঘোষণা। রাতভর নবান্নে থেকে, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখেন মুখ্য়মন্ত্রী। অন্য়দিকে, কন্ট্রোলরুমের মাধ্য়মে নজরদারি চালাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। দুর্যোগের রাতে দফতরেই থাকেন, বিদ্য়ুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
বৃষ্টির ফলে বর্ধমান শহরের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। জলমগ্ন হয়েছে বর্ধমানের পার্কাস রোড,নার্স কোয়াটার মোড়, বাবুরবাগ, শ্যামলাল,শ্রীপল্লী অফিসার্স কলোনির একাংশ। ফলে জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে মানুষজনকে। শ্রীপল্লী অফিসার্স কলোনী এলাকার স্থানীয়দের অভিযোগ, 'নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় বৃষ্টি পড়লেই জলমগ্ন হয় পরে এলাকার রাস্তাঘাট। আজ নয় দানার প্রভাব, কিন্তু এর আগেও দেখা গিয়েছে বৃষ্টি হলেই রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে অতীতেও।'যদিও এই বিষয় বর্ধমান পৌরসভার পৌরপতি পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, 'দানার প্রভাবে অবিরাম বৃষ্টি হওয়ায় কিছু কিছু জায়গায় জল জমেছে। আমরা ইতিমধ্যেই শহরে একাধিক এলাকার মেইন নিকাশী নালা পরিষ্কার করেছি, বৃষ্টি একটু কমলেই সমস্ত জল নেমে যাবে।'
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সকাল থেকে দফায় দফায় প্রবল বৃষ্টি। এর জেরে জলমগ্ন হাওড়া শহরের বড় অংশ। হাওড়া শহরের কমপক্ষে ১৫ টি ওয়ার্ডে জল দাঁড়িয়ে যায়। কোথাও গোড়ালি সমান আবার কোথাও হাঁটু সমান জল জমে যায়। সালকিয়া, বেলগাছিয়া, টিকিয়াপাড়া, রামরাজাতলা, হাওড়া ময়দান এবং দাসনগর চত্বরের মূল রাস্তাগুলিতে জল দাঁড়িয়ে যায়। এর ফলে নাকাল হন পথচারীরা। আগাম ঝড় ও বৃষ্টির পূর্বাভাসের কারণে বিপর্যয় মোকাবিলায় হাওড়া পুরসভায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জল জমার কথা জানাচ্ছেন। হাওড়া পুরসভা থেকে বলা হয়েছে তিনটে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প ছাড়াও বিভিন্ন পাম্প হাউজের ৭০টি পাম্প চালানো হবে যাতে জল দ্রুত নেমে যায়। কর্তৃপক্ষের আশ্বাস গঙ্গার জলস্তর কমলে অতিরিক্ত পাম্পের সাহায্যে জমা জল নামিয়ে দেওয়া হবে।
যে মেডিক্যালের ছাত্রী নির্যাতিতা, সেখানেই কনভেনশনের অনুমতি বাতিল! বিচারের দাবিতে কনভেনশন, শেষমুহূর্তে অডিটোরিয়াম প্রত্যাখ্যান! দুর্যোগের কারণ দেখিয়ে অডিটোরিয়াম দিতে চাইল না কল্যাণী মেডিক্যাল।
কল্যাণী মেডিক্যালের রেসিডেন্ট ডক্টর্সের উদ্যোগে কনভেনশন। কলেজের অডিটোরিয়ামের অনুমতি দিয়েও শেষমুহূর্তে প্রত্যাখ্যান!'প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য বিদ্যুতের সরঞ্জাম ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ। ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কায় এসি, লাইট ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ। অনুমতি দিয়েও হল বাতিল নিয়ে আজব দাবি কল্যাণী মেডিক্যালের অধ্যক্ষের! মিলল না ক্যাম্পাসে অনুমতি, বাইরের অডিটোরিয়ামে কাল কনভেনশন। কল্যাণী মেডিক্যালেরই ছাত্রী ছিলেন আর জি কর মেডিক্যালে নিহত চিকিৎসক। বিচারের দাবিতে কাল আর জি কর মেডিক্যালেও জুনিয়র ডাক্তারদের গণকনভেশন।
হাওড়ায় রাস্তায় জমা জলে পড়ে পুরসভার অস্থায়ী কর্মীর মৃত্যু। ডুমুরজলায় বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় জমা জলে পড়ে মৃত্যু। জমা জলে পড়ে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু, অনুমান স্থানীয়দের। কী কারণে মৃত্যু, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, দাবি পুরসভার প্রশাসকের।
ঝড়ের তাণ্ডব থেকে রেহাই পেলেও ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা। বিঘার পর বিঘা চাষের জমি জলের তলায়। দানার তাণ্ডবে ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি। জমা জলে পড়ে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। দানার প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হল ৷ আমন ধান চাষে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মুখে পড়তে হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন এলাকার চাষীদের। গতকাল রাত থেকে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে বিঘার পর বিঘা জমি ক্ষতি হয়েছে। কোথাও জলে ডুবে রয়েছে ধান জমি। তাও আবার ধান গাছ শুয়ে। দাঁতনের অধিকাংশ মানুষ ধান চাষের উপরে নির্ভরশীল। এই অবস্থায় মাথায় হাত পড়েছে ধান চাষীদের৷ ধান চাষ করে পেটে চলে হরিহর শ্যামলের। তিনি বলেন, "প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্কতা জারি আগে থেকেই করা হয়েছিল। রাত দুটো থেকে বৃষ্টি এবং ঝড়ো হওয়া শুরু হওয়ার কারণে ধান জমির উপর জল জমে গেছে। তাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ বিঘা ধানের জমি জামুয়াপতি এলাকায় নষ্ট হয়েছে। আর কয়েক মাস পরে ধান উঠতো ঘরে। তাই মাথায় হাত।'' সমস্তটাই ধানের উপর নির্ভরশীল। ধানের ক্ষতি হয়ে গেলে কী হবে ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছেন না চাষিরা। যদিও ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। কৃষকদের কাছ থেকে লিখিত নথি জমা পড়লে প্রশাসন সঠিক ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারবে বলে এমনটাই জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের হাত থেকে রেহাই পেলেও বাংলায় প্রবল বৃষ্টি সকাল থেকে। লাগাতার বৃষ্টিতে কলকাতায় জল-যন্ত্রণা। আর এই আবহে এবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল সুন্দরবন মাস্টার প্ল্যানের কথা। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, "বাংলাকে বন্যা কিংবা ঝড় কোনও কিছুতেই টাকা দেয় না কেন্দ্রীয় সরকার।' দুর্যোগ মোকাবিলায় সতর্ক প্রশাসন। নবান্ন থেকে পুরসভা-লালবাজারে কন্ট্রোলরুম। রাতভর নবান্নেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সুন্দরবনে নিয়ে একটা মাস্টার প্ল্যানের কথা নীতি আয়োগকে বলেছিলাম। আবার লিখব। আমাদের যেহেতু নদীমাতৃকা দেশ। আমাদের জল বেশি। কিন্তু কিছু করার নেই। ঝাড়খণ্ডে বেশি বৃষ্টি হলে জল ছেড়ে দিচ্ছে ডিভিসি। নিজের কোল খালি করে দিচ্ছে আর আমাদের বুক ভরা জল দিয়ে পুরো হাপিত্যেশ করতে হচ্ছে। মানুষের ঘর বাড়ি ভেঙে যাচ্ছে। ডুবে যাচ্ছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান আমরা অলরেডি করেছি। ৪০০ কোটি টাকা তোমরা কাজ করেছ। তোমরা কাজটা করতে শুরু করো। দুবছরের মধ্যে কাজ শেষ করো। ম্যান পাওয়ার বেশি লাগিয়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করো। যা ক্ষতি হচ্ছে আমাদেরই টাকা জলে যাচ্ছে। বাংলাকে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য এক পয়সা দেয় না। আমাদের দায়বদ্ধতা মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে।''
গত ২৩ অক্টোবর যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বাদানুবাদ চলাকালীন সামনে রাখা বোতল ভাঙন কল্যাণ, ছুড়ে ফেলেন জেপিসির চেয়ারম্যানের সামনে। এবার যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাদানুবাদের পর এবার বিজেপি সাংসদকে তীব্র আক্রমণ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বলেন, 'ও হচ্ছে জুডিশিয়ারির কুলাঙ্গার' ! পাল্টা শমীক।
ঝড়ের তাণ্ডব থেকে রেহাই পেলেও ভাসছে দক্ষিণবঙ্গে। সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টি কলকাতায়। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। দিনভর দুর্যোগের পূর্বাভাস। যদিও এরইমধ্যে রয়েছে আশার খবর। কাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা।
প্রবল ঝড়ের সঙ্গে চলছে তুমুল বৃষ্টি। বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ, উড়েছে টিনের চাল। 'দানা'র দাপট বাংলাতেও। পূর্ব মেদিনীপুরে বহু জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ। জলোচ্ছ্বাসে মন্দারমণির নিচু জমিতে ঢুকেছে নোনা জল। ঝড়ের দাপট বকখালিতেও। কলকাতাতেও কালো মেঘে ঢাকা আকাশ, চলছে বৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে নবান্ন থেকে পুরসভা-লালবাজারে কন্ট্রোলরুম থেকে চলছে নজরদারি। রাতের পর সকালেও নবান্ন থেকে নজরদারি মুখ্যমন্ত্রীর। পুরসভা থেকে নজরদারিতে মেয়র। রাতে বিদ্যুৎভবনেই অরূপ বিশ্বাস।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যদি এর পরিধি বেড়ে যেত, তাহলে অন্য জায়গাতে প্রভাব পড়বে। তবে এইক্ষেত্রে এটা অনেক কমপ্যাক্ট হয়ে গিয়েছিল। তবে কেন কমপ্যাক্ট হল ? এগুলি ম্যাটার অব ইনভেস্টিগেশন। আমাদেরকে ওগুলি পড়াশোনা করতে হবে, দেখতে হবে। অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর হল সাইক্লোন সিজন। এটা কিন্তু আজ থেকে নয়, চিরকালই আছে। তার জন্য শীত আসা-যাওয়ার বিঘ্ন ঘটবে না। শীত আসতে এমনিতেই অনেক সময় বিঘ্ন ঘটে, গতবছরও বিঘ্ন। কিন্তু এটা তো সাইক্লোন সিজন। এই তো জাস্ট একটাই সাইক্লোন হল।
জলবন্দি খোদ শাসক সাংসদ। লেক গার্ডেন্সে সৌগত রায়ের বাড়ির চত্বর জল থইথই। পুরসভাকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি বলে আক্ষেপ। বৃষ্টি হলেও ঝড়ের প্রভাব পড়েনি কলকাতায়। সকাল ১০টা থেকে ফের শুরু ট্রেন চলাচল। উড়ল বিমানও। এখনও বন্ধ ফেরি।
ঝড়ের তাণ্ডব থেকে রেহাই পেলেও ভাসছে দক্ষিণবঙ্গে। সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টি কলকাতায়। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা। দিনভর দুর্যোগ। কাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা। লাগাতার বৃষ্টিতে কলকাতায় জল-যন্ত্রণা। ঠনঠনিয়া, বউবাজার, মৌলালি থেকে ময়দান। রাস্তা যেন নদী। হাঁটুজল কৈখালি থেকে বেহালায়। চরম দুর্ভোগ।
ফের মুখ্যসচিবকে ইমেল জুনিয়র ডাক্তারদের। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নতিতে ৬ দফা পরামর্শ দিয়ে মুখ্যসচিবকে ইমেল। 'কেন্দ্রীয় ভাবে হাসপাতালে খালি বেডের সংখ্যার উপর 'নজরদারি করতে হবে, দালালরাজ ঠেকাতে দ্রুত বেডের তথ্য দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে', মুখ্যসচিবকে পাঠানো জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেলে উল্লেখ।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: 'আমফানে'র মতো নয়, প্রভাবের দিক থেকে 'রেমালে'র মতো হতে পারে বলে আগেই অনুমান করেছিল আবহাওয়া দফতর। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে এই আশঙ্কায় আগাম সব ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছিল প্রশাসন। তবে, আশঙ্কা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র বিশেষ প্রভাব পড়ল না বাংলায়। উত্তর ওড়িশা অভিমুখে এগোনোর পাশাপাশি, গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। গতকাল রাতে ওড়িশার ধামারার কাছে ল্যান্ডফল করে ওড়িশাতেই 'অ্যারেস্ট' হল ঘূর্ণিঝড়। সকালেই ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শেষ করে ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে দানা।
ঝড়ের দাপট না থাকলেও বৃষ্টিতে ভাসছে দক্ষিণবঙ্গ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। উপকূলবর্তী এলাকায় ৮০ থেকে ৯০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। নন্দীগ্রাম-খেজুরি-এগরায় ভেঙেছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। পূর্ব মেদিনীপুরে উপড়ে গেছে প্রায় ১৭৫টি বিদ্যুতের খুঁটি। বিদ্যুৎ সংযোগ নেই অনেক এলাকায়। কলকাতাতেও সকাল থেকে মাঝেমধ্যে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। হাওড়া, হুগলি-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আজ বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।
ল্যান্ডফলের পরই দানার দৌরাত্ম্য ওড়িশায়। ১২০ কিমি বেগে আছড়ে পড়ল ধামারার কাছে। উপড়ে গেল গাছ। উড়ল টিনের চাল। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি। স্থলভাগে ঢুকেই শক্তি হারাল দানা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবথেকে বেশি পূর্ব মেদিনীপুরে। দিঘা থেকে সাগর, উত্তাল সমুদ্র। জলোচ্ছ্বাসে ভাসল গঙ্গাসাগরের কপিলমুুণির আশ্রম। ঝড়ের তাণ্ডব থেকে রেহাই পেলেও ভাসছে দক্ষিণবঙ্গে। সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টি কলকাতায়। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা। দিনভর দুর্যোগ। কাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা। লাগাতার বৃষ্টিতে কলকাতায় জল-যন্ত্রণা। ঠনঠনিয়া, বউবাজার, মৌলালি থেকে ময়দান। রাস্তা যেন নদী। হাঁটুজল কৈখালি থেকে বেহালায়। চরম দুর্ভোগ।
টানা বৃষ্টিতে জল থইথই রাজ্যের ১ নম্বর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল। জলমগ্ন কার্ডিওলজি, প্রসূতি বিভাগ, আউটডোর। বাড়ছে হয়রানি। জলবন্দি খোদ শাসক সাংসদ। লেক গার্ডেন্সে সৌগত রায়ের বাড়ির চত্বর জল থইথই। পুরসভাকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি বলে আক্ষেপ। উপকূলের জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব। নন্দীগ্রাম-খেজুরি-এগরায় ভাঙল গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। ক্ষতিগ্রস্ত বহু কাঁচা বাড়ি, চাষের জমি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। বৃষ্টি হলেও ঝড়ের প্রভাব পড়েনি কলকাতায়। সকাল ১০টা থেকে ফের শুরু ট্রেন চলাচল। উড়ল বিমানও। এখনও বন্ধ ফেরি।
আরও পড়ুন: CID Returns to TV: ৬ বছর পর টেলিভিশনের পর্দায় ফিরছে CID, নতুন টিজার উসকে দিল নস্টালজিয়া
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -