হাজারো মানুষকে সরানো হচ্ছে উপকূল থেকে, স্কুল-কলেজ বন্ধ, ব্যাহত বিমান পরিষেবাও, রাক্ষুসে গতিতে এগোচ্ছে মন্থা
১৪০টি উদ্ধারকারী দল এনডিআরএফ, ওডিআরএএফ, ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন করা হয়েছে। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নয়টি জেলার সমস্ত স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি বন্ধ থাকবে।

ঝমঝমিয়ে চলছে বৃষ্টি। এলোপাথাড়ি হাওয়া। ফুলেফেঁপে উঠছে সমুদ্র। সমগ্র প্রকৃতিই দিচ্ছে দুর্যোগের সঙ্কেত। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় মন্থা আছড়ে পড়বে অন্ধ্রের উপকূলে। সন্ধেয় কাকিনাড়ায় হবে ল্যান্ডফল। সোমবার থেকেই উপকূলীয় অন্ধ্র প্রদেশ (CAP) এবং রায়লসীমার কিছু অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। সঙ্গে বইছে তীব্র ঝোড়ো হাওয়া।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে মঙ্গলবার ও বুধবার উপকূলীয় অন্ধ্র প্রদেশ জুড়ে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। তীব্র বাতাস বইবে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্র অনুসারে, ঘূর্ণিঝড় মন্থা সোমবার চেন্নাই থেকে ৪৮০ কিলোমিটার পূর্বে, কাকিনাড়া থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে, বিশাখাপত্তনম থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে, গোপালপুর (ওড়িশা) থেকে ৭২০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৮৯০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থান করছিল। আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, শক্তিশালী ঝোড়ো হাওয়ায় বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং গাছ উপড়ে পড়তে পারে। উপকূলীয় জেলাগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হতে পারে বলে আগাম জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ওড়িশা দক্ষিণের আটটি জেলা, মালকানগিরি, কোরাপুট, নবরঙ্গপুর, রায়গড়া, গজপতি, গঞ্জাম, কালাহান্ডি এবং কান্ধমালেও আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে । ১,৪৯৬ জন গর্ভবতী মহিলা সহ প্রায় ৩,০০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে উপকূল থেকে । সেসব জেলায় ১৪৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ১৪০টি উদ্ধারকারী দল এনডিআরএফ, ওডিআরএএফ, ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন করা হয়েছে। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নয়টি জেলার সমস্ত স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি বন্ধ থাকবে।
সোমবার থেকেই বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দরের আশেপাশে দৃশ্যমানতা কম । দিল্লি-ভাইজাগ ইন্ডিগোর একটি বিমানকে ভুবনেশ্বরে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ভাইজাগ থেকে বেঙ্গালুরু এবং বিজয়ওয়াড়া থেকে ভাইজাগ যাওয়ার দুটি উড়ান বাতিল করা হয়।
এই ঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সন্ধে বা রাতের মধ্যে কাকিনাড়া বন্দরের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। সেই সময় এর গতিবেগ থাকবে প্রতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার । মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে ৩০-৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বইবে দমকা বাতাস । শনিবার থেকে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ । মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে পার্বত্য এলাকায়।
ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে সোমবার উপকূলীয় অন্ধ্র প্রদেশ (CAP) এবং রায়লসীমার কিছু অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সাথে তীব্র ঝড়ো হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে মঙ্গলবার ও বুধবার CAP জুড়ে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত এবং তীব্র বাতাস বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের (আইএমডি) উপগ্রহ চিত্র অনুসারে, ঘূর্ণিঝড় মোন্থা সোমবার চেন্নাই থেকে ৪৮০ কিলোমিটার পূর্বে, কাকিনাড়া থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে, বিশাখাপত্তনম থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে, গোপালপুর (ওড়িশা) থেকে ৭২০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৮৯০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থান করছিল।






















