ISF Meeting: আইএসএফ সভার ইস্যুতে দিলীপের নিশানায় TMC, বললেন..
Dilip On ISF Rally:বৃহস্পতিবার সিঙ্গল বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে যে সভা করার অনুমতি দিয়েছিল, আজ তা খারিজ করে দিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ...
রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভার অনুমতি পেল না ISF। বৃহস্পতিবার সিঙ্গল বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে যে সভা করার অনুমতি দিয়েছিল, শুক্রবার তা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি, প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, রাজ্য় সরকারের নির্ধারিত স্থানেই সভা করতে হবে ISF-কে। তবে এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই ইস্যুতে মুখ খোলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, 'সবাইকে আদালতে যেতে হয়। কারণ এখানে সরকার বলে কিছু নেই। আমরা খুঁজে পাই না সরকার কোথায় আছে ! অনুমতি কে দেবে? পুলিশ কোথায়? টাকা তুলতে, চাঁদা তুলতে আর ফুটবল খেলতে ব্যস্ত। প্রশাসন কে চালাবে? কোর্ট আছে। ভালো মন্দ যাই হোক, কোর্টের কাছেই বিরোধীদের যেতে হয়। তৃণমূলের নেতা খুন হলেও, পুলিশে ভরসা না রেখে, কোর্টে যেতে হয়।'
২১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চেয়েছিল ISF। কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায়, জল গড়ায় আদালতে। বৃহস্পতিবার, সিঙ্গল বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে সভা করার অনুমতি দিলেও, তা চ্যালেঞ্জ ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতি বলেন, 'যিনি মূল অভিযুক্ত, তিনিই স্থান নির্বাচন করছেন!মামলা করছেন! আমরা দুঃখিত, তার বক্তব্যে বিশ্বাস করতে আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। '
এদিন আরও একাধিক বিষয়েও কথা বলেন দিলীপ ঘোষ। সন্দেশখালি ইস্যুতে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন,'আদালত বা রাজ্যপাল। এই দুটি স্তম্ভই এখন মানুষের ভরসা। সমস্যায় পড়লে মানুষ এখন আদালতে যায় বা রাজ্যপালের কাছে যায়। কারণ আর কারুর কাছে আশা নেই। কেউ কানমোলা দিচ্ছে। কেউ চিঠি লিখে রাজধর্ম মনে করিয়ে দিচ্ছে। সরকার ঘুমাতে চলে গেছে। বেহায়া নির্লজ্জদের কিছু হয় না।'
আরও পড়ুন, রাত পেরোলেই বৃষ্টি ? কেমন থাকবে আবহাওয়া ? জানাল হাওয়া অফিস
অপরদিকে, ইডির স্ক্যানারে মিডিলম্যান প্রসন্ন রায়ের অফিস থেকে মিলেছে একাধিক নথি। এই ইস্যুতেও এদিন মুখ খোলেন বিজেপি নেতা। দিলীপ ঘোষ বলেন,'আগে তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আগের বার তিনি জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু ইডি মনে করছে আরও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে। তাই ফের তদন্ত হচ্ছে। জাল এতো বড় যে কে যুক্ত আর কে নয়, অনেকে অজান্তে যুক্ত হয়ে পড়েছে। কে সুবিধা পেয়েছে কে পায়নি, এভাবেই বিশাল বিস্তার হয়েছে। তার কিনারা খোঁজার চেষ্টা চলছে।'