Durga Puja: 'প্রশাসনিক চাপে' বন্ধ হয়ে গেল 'অপারেশন সিঁদুরে'র থিম! 'বিজেপি পরিচালিত পুজো', চাঞ্চল্যকর দাবিতে তুমুল বিতর্ক
Durga Puja Theme: ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, 'আমাদের ভাবনাচিন্তা ছিল অপারেশন সিঁদুর। প্রশাসনিক চাপের জন্য পিছিয়ে যেতে হয়েছে'।

কলকাতা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের চকফুলডুবি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির ঘটনা নিয়ে এবার বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে, 'অপারেশন সিঁদুরে'র থিম বন্ধের জন্য প্রশাসনের তরফে চাপ দেওয়া হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, 'অপারেশন সিঁদুর' থিম করার বিধায়কের রোষানলে পড়েন প্রধান।
এরপরেই থিম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় চকফুলডুবি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুজো উদ্যোক্তারা। অন্যদিকে, এই পুজো কমিটি বিজেপি পরিচালিত, পাল্টা দাবি তৃণমূল বিধায়কের। যা নিয়ে বিতর্কের তৈরি হয়েছে।
ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, 'আমাদের ভাবনাচিন্তা ছিল অপারেশন সিঁদুর। প্রশাসনিক চাপের জন্য পিছিয়ে যেতে হয়েছে, আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। থিমের জন্য চাপ, এই থিম করা যাবে না। সাগরের স্থানীয় প্রশাসন। সরসারি অনুদান ফিরিয়ে দেব'।
অন্যদিকে, ‘অপারেশন সিঁদুর’কেই এবার পুজোর থিম বানিয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (যা লেবুতলা পার্কের পুজো নামেও পরিচিত।)। রাম মন্দিরের থিমে তাঁদের মণ্ডপ নজর কেড়েছিল রাজ্যবাসীর। পুজো কমিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বারের থিমের মাধ্যমে ভারতীয় নারীশক্তি ও সেনাবাহিনীর অসামান্য সাহস এবং বীরত্বকে তুলে ধরা হবে। এই থিমে একদিকে যেমন দেশের সুরক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা ফুটিয়ে তোলা হবে, তেমনই হিন্দু বিবাহিত নারীদের কাছে সিঁদুরের মাহাত্ম্য এবং শাঁখা-পলার গুরুত্বও তুলে ধরা হবে।
তবে এই পুজো নিয়ে চারবার নোটিসের পর বুধবার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো বলে পরিচিত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো-প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে পুলিশ। এর আগে ১৪ মে থেকে ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতিকে চারটি নোটিস পাঠায় মুচিপাড়া থানা। সেখানে মণ্ডপে ঢোকা ও বেরনোর পর্যাপ্ত জায়গা রাখা, প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ার মোতায়েন, বেরনোর গেটের কাছে হকার বসানো থেকে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো, বিজ্ঞাপনের গেট, জয় রাইডে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির উদ্যোক্তা ও বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, 'সৎ ছেলের মতো ব্যবহার। সব পুজোর সঙ্গে একরকম আমাদের সাথে আরেক। বাইরের লোক এসে সিকিওরিটি দেখবে বলছে। ওরা পারবে? কলকাতা পুলিশ সাইলেন্ট হয়ে গেলে দেখবেন দারুণ পুজো হয়েছে।'






















