Durgapur : মর্মান্তিক, কাজের দেরি ঘিরে বচসা, নিজের গ্রামেরই বন্ধুকে ছুরিকাঘাত, মৃত্যু মুটিয়ার
অভিযুক্ত কাজু রাম আচমকাই বস্তা কাটার ধারালো ছুরি চালিয়ে দেয় যোগেন্দরের পেটে। এরপরই এলাকা থেকে পালিয়ে যায় সে। রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় যোগেন্দর রামকে।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : কাজে দেরি করে আসার প্রতিবাদ করায় দুই মুটিয়ার মধ্যে বচসা, হাতাহাতি গড়াল মর্মান্তিক ঘটনা পরিণতিতে। হাতাহাতি চরম পর্যায়ে পৌঁছনোর পর বিহারের একই গ্রাম থেকে আসা এক মুটিয়ার ছুরিকাঘাতের জেরে মৃত্যু হল অপর এক মুটিয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর স্টেশন বাজারের সেন মার্কেটে। ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, প্রায়শই মদ খেয়ে দেরি করে কাজে আসত অভিযুক্ত মুটিয়া কাজু রাম। রবিবার রাতে কাজু রামের কাজে দেরি করে আসার প্রতিবাদ জানায় আর এক মুটিয়া যোগেন্দর রাম। কথা কাটাকাটি চলতে চলতেই যোগেন্দরের সঙ্গে কাজুর হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেন মার্কেটের পাইকারি বাজারে সবজির আড়তদার সাগর সাহার দোকানের সামনে দুই মুটিয়া হাতাহাতি করছিল। এরই মধ্যে অভিযুক্ত কাজু রাম আচমকাই বস্তা কাটার ধারালো ছুরি চালিয়ে দেয় যোগেন্দরের পেটে। এরপরই এলাকা থেকে পালিয়ে যায় সে। রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় যোগেন্দর রামকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার সকালে বিধাননগরের একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় যোগেন্দরের।
সূত্রের খবর, বিহারের একই গ্রামে থাকত যোগেন্দর ও কাজু রাম। অভিযুক্ত কাজুকে বিহার থেকে নিয়ে এসে দুর্গাপুরে কাজের ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন যোগেন্দর। সেই কাজুই যে যোগেন্দরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে হতে এমন কাণ্ড ঘটাবে, তা ভাবতে পারেনি কেউ। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আসে কোকওভেন থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়। মার্কেটেরই এক সবজি আড়তদারের দোকানে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে এবং অভিযুক্ত কাজু রামের খোঁজে তল্লাশিও চালানো হচ্ছে। ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃত যোগেন্দরের ভাই ভীম রাম।