Earthquake Death Toll: সাতসকালে কাঁপল পাঁচ দেশ, ভূমিকম্পে তিব্বতে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
Earthquake Death News: ভোরে ঘুমচোখে আতঙ্ক। নড়ে উঠল খাট, আসবাবপত্র। কেঁপে উঠল কলকাতা সহ অন্যান্য জেলাও।
কলকাতা: সাতসকালে কেঁপে উঠল কলকাতা। ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপাল। দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই কম্পন (Earthquake Death Toll) টের পাওয়া গেল উত্তরবঙ্গেও। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভূমিকম্পে তিব্বতে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.১। ভারত সহ কাঁপল ৫টি দেশ।
ভূমিকম্পে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা: নেপালের লোবুচে থেকে ৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভূমিকম্পের উৎসস্থল। সেখানে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭ দশমিক ১। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভূমিকম্পের জেরে তিব্বতে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লি ও বিহারের মধুবনী জেলা ও শিবহরে কম্পন অনুভূত হয়। ভারত, নেপাল, তিব্বত, বাংলাদেশের সঙ্গে কম্পন টের পাওয়া গেল চিন-ভুটানেও। চিনে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭ দশমিক ১। শহরের একাধিক জায়গায় প্রায় ১ মিনিট ধরে কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতেও। ভূমিকম্পের কিছুক্ষণের মধ্যেই একাধিক জায়গায় আফটার শক অনুভূত হয়। সকাল ৭টা ২মিনিটে প্রথম আফটার শক অনুভূত হয়। সেই সময়ে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৭। এরপরে পরে আরও তিনবার আফটার শক অনুভূত হয়।
২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় নেপালে। ভূমিকম্পের জেরে এভারেস্টেও তুষারধস নামে। সেই সময়ে মৃতের সংখ্যা ২হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছিল।সম্পূর্ণ
বিধ্বস্ত হয়ে যায় কাঠমাণ্ডু, পোখরা-সহ নেপালের বিস্তীর্ণ এলাকা। কাঠমান্ডুর পরিচয় পাটন স্কোয়ার মন্দির ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। ধ্বংস হয়ে যায় নেপালের একাধিক রাস্তা। নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় বহু হাসপাতাল, বাড়ি। ধুলিসাৎ হয়ে যায় কাঠমান্ডুর দরবার স্কোয়ার। সর্বস্ব হারিয়ে দিনের পর দিন রাস্তায় কাটাতে বাধ্য হন হাজার হাজার মানুষ।
তীব্রতা অনুযায়ী ভূমি কম্পকে চারভাগে ভাগ করা হয়৷ রিখটার স্কেলে ৪.৯ মাত্রা পর্যন্ত বলা হয় মৃদু কম্পন৷ ৫ থেকে ৬.৯ মাত্রা পর্যন্ত বলা হয় মাঝারি কম্পন৷ ৭ থেকে ৭.৯ মাত্রা পর্যন্ত বলা হয় তীব্র ভূমিকম্প৷ ৮ মাত্রার বেশি হলে বলা হয় অতি তীব্র কম্পন৷ অর্থাৎ এদিনের কম্পনের মাত্রার নিরিখে তীব্র ভূমিকম্প পর্যায় পড়ে। হিমালয়ের পাদদেশ থেকে কলকাতার দূরত্ব ৫০০ কিলোমিটারের আশপাশে। হিমালয় উপত্যকায় ভূমিকম্প হলে তার প্রভাব এ শহরে পড়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয় বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন : Government Bus Problem: শহরে বাড়ছে সরকারি বাস, কমবে ভোগান্তি? আশার আলো দেখছেন যাত্রীরা