Tamluk News: প্রথমে অপহরণ, গভীর রাতে যেভাবে পাওয়া গিয়েছিল ময়নার BJP নেতাকে ! অবশেষে পুণেতে গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত
Moyna BJP Leader Murder Case: ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুনের ঘটনায় এবার NIA-র হাতে গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত, কারা ছিল এর পিছনে ? এবার কি সামনে আসবে প্রকৃত সত্য ?
পূর্ব মেদিনীপুর: ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুনের ঘটনায় এবার মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেফতার ১। পুণে থেকে NIA-র হাতে গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত মোহন মণ্ডল। পলাতক মোহনের বিরুদ্ধে আগেই জামিন অযোগ্য গ্রেফতার পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এর আগে এই মামলায় নবকুমার মণ্ডল ও শুভেন্দু ভৌমিক নামে দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
২০২৩ সালের ১ মে, ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধার হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনের তদন্ত করছে NIA। গত ১ মে, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় খুন হন বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। অপহরণ করে খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার।
ভর সন্ধেয় বাড়ি ফেরার পথে স্ত্রীর সামনেই প্রথমে মারধর করা হয়েছিল বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে। এরপর তাঁকে মোটরবাইকে চাপিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, দাবি পরিবারের। ওই দিনই গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে বিজেপি নেতার দেহ মেলে।
মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছিল তাঁকে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করে পুলিশ। রাতে থানার সামনে ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ ছিল, খুনের পিছনে হাত রয়েছিল ময়নার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সংগ্রাম দলুইয়ের। প্রাক্তন বিধায়কের পাল্টা অবশ্য দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন।
গতবছর লোকসভা ভোটের পাঁচদিন আগে কাঁথির ভূপতিনগরে বিজেপি নেতাদের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধরের ঘটনার অভিযোগ উঠেছিল । সেবার বিজেপি নেতাদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে । আহত হয়েছিলেন অর্জুননগরের বিজেপি বুথ সভাপতি অবনী দে-সহ ৩ নেতা । অতীতে, ২০২১-এর ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন, খুন হয়েছিলেন, কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। পরিবারের অভিযোগ ছিল, শ্বাসরোধ করে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছিল বিজেপি কর্মী অভিজিৎকে। হাইকোর্টের নির্দেশে এরপর তদন্তভার গিয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে। একুশ থেকে পঁচিশের মাঝে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে বলেই চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে।