East Midnapore: দুর্নীতি-মামলায় গ্রেফতার হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত দাস
Former TMC Councilor Arrest: ধৃতের বিরুদ্ধে হলদিয়ার সুতাহাটা থানা এলাকার অটো ও ট্রেকার স্ট্যান্ড দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিটন চক্রবর্তী, হলদিয়া: হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীনই দুর্নীতি-মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত দাস। ধৃতের বিরুদ্ধে হলদিয়ার সুতাহাটা থানা এলাকার অটো ও ট্রেকার স্ট্যান্ড দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শ্যামল আদক চেয়ারম্যান থাকাকালীন সত্যব্রত দাস ছিলেন হলদিয়া পুরসভার টেন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান। শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে তদন্তে সত্যব্রতকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ১৩ অক্টোবর সত্যব্রতর বিরুদ্ধে সুতাহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশের দাবি, প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে, শ্যামল আদকের সঙ্গে সত্যব্রতও মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন।
টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার: টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগে। হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিজেপি নেতা শ্যামল আদকের নামে হুলিয়া জারি করেছে আদালত। এবার অন্য এক দুর্নীতির মামলায় তাঁর সঙ্গী, এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত দাসকে। বুধবার গ্রেফতার করল হলদিয়ার সুতাহাটা থানার পুলিশ। তৃণমূলের টিকিটে জিতে কাউন্সিলর হলেও, পরবর্তীকালে শ্যামকুমার আদকের সঙ্গে তিনিও বিজেপিতে যোগ দেন। শ্যামল আদক হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন, এক নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন সত্যব্রত দাস। পুরসভার টেন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। পেশায় ঠিকাদার ওই কাউন্সিলর, প্রশাসনের বিভিন্ন প্রকল্পের বরাতও পেয়েছিলেন। শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে, সেই মামলায় কয়েকবার সত্যব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ১৩ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে সুতাহাটা থানায়, অটো ও ট্রেকার স্ট্যান্ড তৈরির নামে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেন, হলদিয়া টাউনের প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি।
হলদিয়ার অভিযোগকারীর তৃণমূল নেতা কমলেশ চক্রবর্তী বলেন, “সুতাহাটায় অটো ও ট্রেকার স্ট্যান্ড তৈরির নামে দু’বার করে ৫০ লক্ষ করে তোলা হয়েছে। সার্ভে করলে বোঝা যাবে ২০ লক্ষের বেশি খরচ হয়নি।’’ এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই, বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন কাউন্সিলরকে। ঘটনায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য শ্যামল মাইতি বলেন, “শাসকদলের নির্দেশেই হচ্ছেন, পুলিশ হেনস্থা করতেই এসব করা হচ্ছে শ্যামল আদক ও তাঁকে।’’হলদিয়া টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বপন নস্কর বলেন, “পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে, শাসকদলের কোনও হাত নেই।’’ সামনের বছর ফেব্রুয়ারি কিংবা এপ্রিলে পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে। তার আগে এই গ্রেফতারি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: যা বলার ব্রাত্য বলবে, আমি চাই কারোর চাকরি যেন না যায় : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়