Doctors Death : মেয়ের হাতে চ্যানেল ! জানতেন না মা-ই, কেন হঠাৎ রক্তপাত? চিকিৎসক মৃত্যুতে কোন রহস্য?
East Midnapore Tamluk Lady Doctors Death: মায়ের দাবি, শুক্রবার হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান মেয়ে। এরপরই আচমকা হাতের চ্যানেল থেকে রক্তপাত শুরু হয়। এরপর তাঁকে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর : পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি হাসপাতালে কর্মরত এক মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। তাঁর মায়ের দাবি, শুক্রবার হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান মেয়ে। এরপরই আচমকা হাতের চ্যানেল থেকে রক্তপাত শুরু হয়। এরপর তাঁকে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। '
আশ্চর্য বিষয় হল, তাঁর মায়ের দাবি, মেয়ের হাতে কোনও চ্যানেল ছিল না। সেখানেই প্রশ্ন উঠছে কীভাবে মৃত্য়ু হল চিকিৎসকের? কিন্তু কেন হঠাৎ চিকিৎসকের হাতে চ্যানেল করা হবে? তাঁর কি কোনও অসুখ ছিল? উঠছে প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, মৃত চিকিৎসক শালিনী দাস অ্য়ানাস্থেশিয়োলজি নিয়ে মাস্টার ডিগ্রি পান আর জি কর মেডিক্য়াল থেকে। প্রথম দু'বছর তাম্রলিপ্ত মেডিক্য়ালে সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন। তারপর তৃতীয় বছরে কাঁথির হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তিনি।
আর জি কর মেডিক্য়ালের অ্য়ানাস্থেশিয়া বিভাগ সূত্রে খবর, অল্প বয়স থেকেই রক্তচাপ জনিত সমস্য়া থাকার জন্য় নিয়মিত ওষুধ খেতে হত তাঁকে। শুক্রবার র অস্বাভাবিকভাবে মৃত্য়ু হয়। তাঁর মায়ের দাবি, হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান মেয়ে। এরপরই আচমকা হাতের চ্যানেল থেকে রক্তপাত শুরু হয়। কিন্তু সকালে হাসপাতালে যাওয়ার সময় নাকি মেয়ের হাতে কোনও চ্যানেল ছিলই না। তবে মৃত চিকিৎসকের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতে জানা গিয়েছে, আচমকা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হতে পারে শালিনী দাসের , মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে হাতের চ্যানেলে পুশ করা ওষুধের বিক্রিয়ার জেরে মৃত্যু কিনা, তা ঘিরেও প্রশ্ন
ওষুধের জেরে মৃত্যু কি না, তা জানতে হবে ভিসেরা পরীক্ষা।
এরপর তাঁকে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। কেন চ্যানেল করা ছিল চিকিৎসকের হাতে? পুলিশের দাবি, অসুস্থ ছিলেন চিকিৎসক। তাই হাতে চ্যানেল করে ইঞ্জেকশন পুশ করা হয়েছিল।
এর আগেও এমন ঘটনা
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে একাধিক চিকিৎসকের মৃত্য়ু ঘিরে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য়। চলতি বছরই ১২ সেপ্টেম্বর মালদায় RG কর মেডিক্যাল কলেজের MBBS ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হন প্রেমিক। মৃতার পরিবারের দাবি,লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন দু'জনে। সম্প্রতি সম্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন ওই তরুণী। তখন প্রেমিক উজ্জ্বল সোরেনকে বিয়ের রেজিস্ট্রি করার কথা বলেন। অভিযোগ এ নিয়েই মন কষাকষি চলছিল দু'জনের মধ্যে।






















