SSC Case: 'ওঁদের দাবিগুলি...', চাকরিহারা-প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী ?
SSC Teachers Representatives: বৈঠকের পর আলোচনার বিষয়বস্তু ইতিমধ্যেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা।

কলকাতা : বিকাশভবনে চাকরিহারাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও এসএসসির চেয়ারম্যান। বৈঠকের পর আলোচনার বিষয়বস্তু ইতিমধ্যেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা। এবার সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠকের সারমর্ম তুলে ধরলেন শিক্ষামন্ত্রী। কী জানালেন তিনি ?
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্য-বঞ্চিতদের যাতে চাকরি থাকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে, সে ব্যাপারে আইনি প্রতিরক্ষা দেওয়ার কথা এবং আইনি সহযোগিতা যাতে সমস্ত যোগ্য বঞ্চিত শিক্ষক পান, সেব্যাপারে তিনি নেতাজি ইন্ডোরের দিন ঘোষণা করেছিলেন। সেই মোতাবেক আজ ওঁরা আমাদের সঙ্গে বিকাশভবনে বসতে চেয়েছিলেন। ওঁরা চিঠি লিখে একটা আবেদন করেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৈঠক হয়েছে। ওঁরা বেশকিছু দাবি আমাদের কাছে করেছেন। আমার ধারণা, সেই দাবিগুলো বা কী ফলাফল সেটা ইতিমধ্যে ওঁরা একপ্রস্থ আপনাদের কাছে জানিয়েছেন। আমাদের দিক থেকে বলার, ওঁরা যেগুলো বলেছেন সেগুলোর সঙ্গে আমাদের মৌলিক কোনও বিরোধ নেই। কিন্তু, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই ...যেহেতু আপনারা বুঝতেই পারছেন সুপ্রিম কোর্টের একটা সরাসরি নির্দেশ আছে...সেখানে আমরা আইনি কবচ বা আইনি সহযোগিতা ছাড়া ...আইনি পরামর্শ ছাড়া এখানে আমরা কোনও কাজই করত পারব না। ফলে, ওঁদের দাবিগুলি অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত। আমরা আইনি পরামর্শ নেব। প্রথম যেটা ওঁরা দাবি করেছেন...এক, যোগ্য এবং অযোগ্য এর তালিকা এসএসসি যেন প্রকাশ করে। আমি গতকালও যেটা বলেছিলাম, এটা এসএসসির কাছে অবশ্যই তথ্য আছে। সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। এসএসসি তিনবার হলফনামা দিয়ে আদালতে জানিয়েছে। অর্থাৎ, যোগ্য-অযোগ্য তালিকা আমাদের আছে। দুই, ওঁরা যেটা দাবি করছেন, এসএসসি সেই তালিকা যেন ওয়েবসাইটে তুলে দেয়। আমাদের তাতেও আপত্তি নেই। কোনও অসুবিধা নেই। আমি এসএসসিকে জিজ্ঞাসা করেছি। এসএসসির চেয়ারম্যানও এখানে আছেন। এসএসসির কোনও অসুবিধা নেই। সিবিআইয়ের থেকে প্রাপ্ত তালিকা যেটা তাদের হাতে আছে, সেটা তুলে দিতে পারে। সেখানে, কোনও সমস্যা নেই। যদি আমরা আইনি পরামর্শ ইতিবাচক পাই। এই মূল দুটি দাবি ওঁরা আমাদের কাছে করেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা জানালাম।"
যোগ্য-অযোগ্য তালিকা যদি ছিল তাহলে এতদিন সময় লাগল কেন ? সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "কোথায় কোনও সময় লাগেনি। এসএসসি তো দিয়েছে। আমি তো বারবার বলছি, এটা বিরোধী দলের তৈরি করা একটা ন্যারেটিভ। আপনারা সেই ন্যারেটিভে অনুগ্রহ করে পা দেবেন না। মিরর ইমেজের ক্ষেত্রে আমরা আইনি পরামর্শ নেব। সেটা যদি সম্ভব হয়, আমাদের তুলে দিতে কোনও অসুবিধা নেই।"
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
