Howrah: ফের বিদ্যুতের বলি হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়, দায় এড়াল বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা
Howrah News: ল্যাম্প পোস্টে লরির ধাক্কায় তার ছিঁড়েই দুর্ঘটনা। গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দাবি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও মৃত্যু।
সুনীত হালদার, অমিত জানা, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর: হরিদেবপুরের (Haridevpur) পর এবার ফের হাওড়া (Howrah), বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু। উলুবেড়িয়ায় (Uluberia) খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মহিলার মৃত্যু। ল্যাম্প পোস্টে (Lamp Post) লরির ধাক্কায় তার ছিঁড়েই দুর্ঘটনা। গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দাবি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও মৃত্যু।
একজন মাঠে যাচ্ছিলেন। পথে পায়ে বিদ্যুতের ছেঁড়া তার জড়িয়ে যায়। অন্যজন মাঠে কাজ করছিলেন। আচমকা বৃষ্টি নামায় গাছের নীচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। একই দিনে, রাজ্যের দুই প্রান্তে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মৃত্যু হল দু’জনের। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানা এলাকায়, বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর ৩৫-এর সমীর হাঁসদা নামে এক যুবকের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে, বৈরামপুরের বাসিন্দা সমীর হাঁসদা মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে গাছের নীচে আশ্রয় নেন তিনি। হাওয়ায় উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি বিদ্যুতের তার গাছ স্পর্শ করলে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। যুবককে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাফিলতির অভিযোগে রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থা WBSETCL-এর খড়গপুরের এরিয়া ম্যানেজার জানিয়েছেন, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবেন। কলকাতার হরিদেবপুর...ধর্মতলা থেকে দমদম...বাঁকুড়া, হাওড়ায় একের পর এক বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মৃত্যু..প্রশ্ন উঠছে আর কত মৃত্যু হলে ফিরবে হুঁশ?
হরিদেবপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল যুবকের
হরিদেবপুরে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছিল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রের। জমা জল পেরিয়ে যাওয়ার সময়, রাস্তার পাশের লাইট পোস্টে হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছাত্র! মুহূর্তে সব শেষ। খালি মায়ের কোল। কিন্তু, এই মর্মান্তির দুর্ঘটনার দায় কার? কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের? কলকাতা পুরসভার আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগের? সিইএসসি’র? নাকি বিএসএনএল-এর? তা নিয়ে শুরু হয়েছিল দড়ি টানাটানি।
আরও পড়ুন: জেলে যাওয়ার ভয়ে বিজেপিতে শুভেন্দু: কুণাল ঘোষ