Piyali Basak: ক্রাউড ফান্ডিংই ভরসা, শীতে মাকালু অভিযানে এভারেস্টজয়ী পিয়ালি বসাক
Piyali Basak Updates: প্রতিবারের মতো এবারও তার একমাত্র অবলম্বন ক্রাউড ফান্ডিং। জনসাধারণের আর্থিক সহায়তাকেই ভর করে আবারও এক নতুন চূড়ার সন্ধানে রওনা দিচ্ছেন এই বঙ্গকন্যা।

সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: বিশ্বের প্রথম নারী পর্বতারোহী হিসেবে শীতকালে মাকালু জয় করতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর রওনা দিচ্ছেন চন্দননগরের পাহাড়কন্যা পিয়ালি বসাক। ২০২৩ সালের ১৭ মে গ্রীষ্মকালে সফলভাবে মাকালু জয় করেছিলেন তিনি। তবে শীতকালীন মাকালু অভিযান অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে থাকে। এই সময়ে পাহাড়ে তাপমাত্রা নেমে যায় প্রায় মাইনাস ৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত, আর ঝোড়ো হাওয়ার বেগ থাকে প্রায় ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। এখন পর্যন্ত মাত্র দুইজন পর্বতারোহী শীতকালে এই মাকালু জয়ে সফল হয়েছেন।
এর আগে পিয়ালী বসাক এভারেস্ট, লোৎসে, মাকালু, মানাসলু, অন্নপূর্ণা ও ধৌলাগিরি সহ একাধিক শৃঙ্গ জয় করেছেন। প্রতিবারের মতো এবারও তাঁর একমাত্র অবলম্বন ক্রাউড ফান্ডিং। জনসাধারণের আর্থিক সহায়তাকেই ভর করে আবারও এক নতুন চূড়ার সন্ধানে রওনা দিচ্ছেন এই বঙ্গকন্যা।
উল্লেখ্য, এর আগে পৃথিবীর চতুর্দশ উচ্চতম শৃঙ্গ শিশাপাংমা অভিযানে যেতে চেয়েছিলেন পিয়ালি। যে শৃঙ্গের উচ্চতা ২৬,৩০০ ফুট। উত্তর দিকে তিব্বত। সেদিক দিয়েই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই অভিযান শুরু করতে চেয়েছিলেন পিয়ালি। কিন্তু চীন প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় সেই অভিযান মুলতুবি রাখতে হয় পিয়ালিকে। পরিবর্তে তিনি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ, ২৮১৭০ ফুট উচ্চতার কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে গিয়েছিলেন। প্রায় শৃঙ্গজয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিলেন।
কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়েন পিয়ালি। সঙ্গে আবহাওয়াও খারাপ হয়। যে কারণে তাঁকে ফিরে যেতে বলেন পর্বতারোহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থা। তাই ফিরতে হচ্ছে পিয়ালিকে। নেপালের দিক থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা আরোহণ শুরু করেছিলেন পিয়ালি। অভিযান সমাপ্ত না করেই ফিরতে হচ্ছে বলে মন খারাপ। ফেরার সময় ট্রেনের টিকিট পাননি। তাই রক্সৌল থেকে বাসে প্রায় ১৬-১৭ ঘণ্টার সফর করে বর্ধমানে আসছেন। সেখান থেকে শনিবার দুপুরের দিকে চন্দননগরের তাঁর বাড়িতে ফিরবেন পিয়ালি।
বাসে সফরের ফাঁকেই মোবাইল ফোনে পাহাড়-কন্যা এবিপি লাইভ বাংলাকে বলেছিলেন, 'মন খারাপ লাগছে তো বটেই। এত কাছে গিয়ে ফিরে আসতে হল। কিন্তু পাহাড়ের কাছে জেদ দেখালে চলে না।' কী হয়েছিল তাঁর? পিয়ালি বলেছিলেন, 'চার নম্বর সামিট ক্যাম্পে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে জ্বর হয়। সঙ্গে কাশি। এর আগে কখনও পাহাড়ে উঠে কাশি হয়নি। এই অভিজ্ঞতা প্রথম। জানলাম, পাহাড়চূড়োয় কাশি কী মারাত্মক। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিকিৎসক ওষুধ দিয়েছিলেন। খেয়ে কিছুটা সুস্থও হয়েছিলাম। সমস্যা তৈরি হয় অন্য দুটি বিষয়ে।'
এবার শীতে মাকালু অভিযানে সফল হোক পিয়ালি এটাই সবার প্রার্থনা...






















