Bankura News:পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরেও জারি দলবদল, তৃণমূলে যোগ দিয়েও ফিরলেন বিজেপি-সিপিএমের ২ সদস্য
Panchayat Board:পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পরেও দলবদল চলছেই বাঁকুড়ায়। তৃণমূলে যোগ দিয়েও সপ্তাহ না পেরোতে পুরনো দলে ফিরলেন বিজেপি ও সিপিএমের দুই সদস্য
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: পঞ্চায়েতের বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের পরেও দলবদল চলছেই বাঁকুড়ায়। তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়েও সপ্তাহ না পেরোতে পুরনো দলে ফিরলেন বিজেপি (BJP) ও সিপিএমের (CPM) দুই সদস্য। বাঁকুড়ার (Bankura) খাতরা ব্লকের দহলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। উন্নয়নের স্বার্থে যোগদান বলে দলবদলের সময় দাবি করেছিলেন দুজনে। 'ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে দলবদল করিয়েছিল তৃণমূল, পুরনো দলে প্রত্যাবর্তন করে দাবি বিজেপি ও সিপিএম সদস্যা।' বিজেপি ও সিপিএম-ই ভয় দেখিয়ে ওদের দলে ফিরিয়েছে, পাল্টা দাবি শাসক শিবিরের।
প্রথম নয়...
গত অগাস্টে বাঁকুড়ার ছাতনায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি ও নির্দলের দুই জয়ী প্রার্থী। সে বার,তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, এই দলবদলের ফলে তারা আরও শক্তিশালী হচ্ছে। পাল্টা গেরুয়া শিবিরে অভিযোগ ছিল, চাপ দিয়ে, ভয় দেখিয়ে যোগদান করিয়ে পঞ্চায়েত বিরোধীশূন্য করতে চাইছে তৃণমূল। শালডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপি প্রার্থী গণেশচন্দ্র খাঁ এবং জয়ী নির্দল প্রার্থী সৌরভ দে-এর একসঙ্গে শাসকদলে যোগদান ঘিরে অগাস্টের গোড়ায় একেবারে তোলপাড় পড়ে যায়। পঞ্চায়েতের পুরোপুরি দখল নিতেই তৃণমূল জোর করে দলবদল করাচ্ছে বলে দাবি করে বিজেপি। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল সেই সময় বলেছিলেন, 'প্রত্যেকের কাছে বিভিন্ন ধরনের চাপ আসছে। ...কিছু জায়গায় প্রতিহত করা হচ্ছে, কিছু জায়গায় করা যাচ্ছে না। এটা এখনও খবর যে আমাদের কাছে আসেনি। দেখব।" যদিও বিজেপির দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল শাসকদল। তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেছিলেন, "একজন এসেছেন বিজেপি থেকে। বনগ্রামের। ছাতনা ব্লকের শালডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের। উন্নয়নের কাজে যুক্ত হতে আমাদের দলে যোগদান করলেন। ওই অঞ্চলেরই আর একজন নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করেছিলেন। উন্নয়ন করতে গেলে পঞ্চায়েত দখল করার দরকার আছে। সেইজন্যই তিনি যোগদান করেছেন।" কিন্তু সত্যিই কি ছবিটা তাই?
ভোট ঘোষণা হতেই হিড়িক?
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই তৃণমূলে যোগদানের ঘটনা শিরোনামে এসেছিল। ৯ জুন, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপির প্রায় শ'খানেক কর্মী। পিংলা ব্লকের গৌরাঙ্গচক এলাকায় তাঁদের হাতে সে সময় জোড়াফুলের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন পিংলা ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ মাইতি। যদিও বিজেপি জানায়, ওরা দলের কেউ না।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, ভোট মেটার পরও দলবদলের ধারা শেষ হচ্ছে কই?