JU Student Death:যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত প্রাক্তনী জয়দীপ ঘোষের পুলিশ হেফাজত ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত
Ex Student In Police Custody: যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত প্রাক্তনীর পুলিশ হেফাজত ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে জয়দীপ ঘোষ।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University Student Death) ধৃত প্রাক্তনীর পুলিশ হেফাজত ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে (Police Custody) জয়দীপ ঘোষ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU Ex Student In Police Custody) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিভাগ থেকে লেখাপড়া করেন জয়দীপ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার রাতে হস্টেলের গেট বন্ধ করা ও পুলিশকে বাধা দেওয়ায় নেতৃত্বে ছিলেন তিনিই। এই মর্মে এদিন আদালতে সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা, বর্তমানে বিক্রমগড়ে থাকতেন জয়দীপ। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিভাগ থেকে পাশ করেন তিনি।
কী জানা গেল?
পুলিশ সূত্রে খবর, জয়দীপকে জেরা করে আরও ১১ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়। জয়দীপের স্বীকারোক্তি থেকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য়ও উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতের কথা থেকে স্পষ্ট,হস্টেল থেকে কেপিসি হাসপাতাল, পুলিশকে যে ভাবে ঢুকতে যে বাধা দেওয়া হয়েছিল, তা একেবারে আঁটঘাঁট বাধা পরিকল্পনারই অংশ ছিল। বিশেষত কেপিসি হাসপাতালে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ফলে নদিয়ার ওই ছাত্রের মৃত্য়ুকালীন জবানবন্দিটুকুও নেওয়া যায়নি। অন্য দিকে, হস্টেলের গেটও বন্ধ করা দেওয়া হয়। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে, গেট বন্ধ করে সেই সময় হস্টেলের মাঠে জিবি মিটিং ডেকেছিল আর এক অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী। তার ডাকে হস্টেলের বহু আবাসিক জড়ো হন সেখানে। উঠে এসেছে, সৌরভ তাঁদের বুঝিয়েছিল, তাঁদের সকলে যেন একই কথা বলেন পুলিশকে। অন্য কোনও কথা বললে পুলিশ তাঁদের হেনস্থা করতে পারে, এমনও বোঝানোর চেষ্টা হয়েছিল হস্টেলের আবাসিকদের। শুধু তাই নয়। এও জানা গিয়েছে যে, অপরাধস্থল থেকে সমস্ত তথ্য়প্রমাণ মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত হয় সেখানেই। সব মিলিয়ে অপরাধমনস্কতার নানা প্রমাণ উঠে এসেছে। বিষয়টি আরও বিশদ জানতে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত হয়েছে জয়দীপ ঘোষের।
বালিগঞ্জের ঘটনায় সক্রিয় পুলিশ...
এদিকে যাদবপুরের ঘটনার পর যখন সংবাদমাধ্যম তোলপাড়, তখনই বালিগঞ্জ টেকনোলজি হস্টেলে ছাত্রের ওপর লাগাতার নির্যাতনের অভিযোগে তৎপর হল পুলিশ। হস্টেলে গিয়ে সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। হস্টেলের রেজিস্টার বুকটিও নিয়ে যাওয়া হয়েছে, দাবি অভিযোগকারী ছাত্রের। অভিযোগ করার পরে পুলিশ এই তৎপরতা দেখালে আরও ভালো হত, প্রতিক্রিয়া অভিযোগকারী ছাত্রের। সঙ্গে প্রশ্ন, তদন্ত শেষের আগেই কী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলছেন র্যাগিং হয়নি?
আরও পড়ুন:২৩ অগাস্ট থেকে বন্ধ থাকবে অমরনাথ যাত্রা, ঘোষণা সরকারের