Bharat Jodo Yatra: সকাল সকাল সাগর থেকে জল তুলে কপিল মুনি আশ্রমে পুজো, বাংলায় শুরু হল ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’
Adhir Ranjan Chowdhury: গঙ্গাসাগর (Gangasagar) থেকে দার্জিলিং (Darjeeling) পর্যন্ত এই পদযাত্রায় শামিল হতে বহু কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকরা চলে আসেন গঙ্গাসাগরে।
গঙ্গাসাগর: দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন, অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলায় শুরু হল কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা' (Bharat Jodo Yatra)। সাগর থেকে পাহাড়, প্রায় ৮০০ কিলোমিটার পদযাত্রা হবে। মোদি সরকারের পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধেও সরব হবে কংগ্রেস (Congress)। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) নেতৃত্বে বাংলায় শুরু হল 'ভারত জোড়ো যাত্রা'। আবদুল মান্নান, অমিতাভ চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠকরা থাকছেন এই পদযাত্রায়।
মোদি সরকারের পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধেও সরব হবে কংগ্রেস
গঙ্গাসাগর (Gangasagar) থেকে দার্জিলিং (Darjeeling) পর্যন্ত এই পদযাত্রায় শামিল হতে বহু কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকরা চলে আসেন গঙ্গাসাগরে। বুধবার সাগর থেকে জল তুলে, কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিয়ে শুরু হয় 'ভারত জোড়ো যাত্রা'। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে ধর্মীয় বিভাজন, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি-সহ বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে, কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত 'ভারত জোড়ো যাত্রা' শুরু করেছেন রাহুল গান্ধী। বাংলাতেও শুরু হল পদযাত্রা।
এ দিন সকালে পদযাত্রায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় অধীরকে। বাংলায় পদযাত্রার কারণ জানতে চাইলে আনন্দের ক্যামেরায় তিনি বলেন, "মানুষের উৎসাহ দেখে ভাল লাগল। যখন পদযাত্রা শুরু করলাম, পতাকা উত্তোলন করলাম দলের, এলাকার মানুষ জন সমবেত হয়েছিলেন। তাঁরাই আমনাদের অনুপ্রেরণা জোগালেন।"
নেহরু-গান্ধী পরিবারের উত্তরাধিকার রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে যখন প্রমাদ গুনছেন অনেকে, সেই সময়ই কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র সূচনা করেন রাহুল। বিগত কয়েক দিনে তাতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। রাহুলের ভাবমূর্তি রক্ষায় এই পদযাত্রা সহায়ক হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলে।
সেই আবহেই এ দিন বাংলায় 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র সূচনা করলেন অধীর। তিনি বলেন, "ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে দেশের কংগ্রেস কর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন। কংগ্রেসের জন্য এটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। বাংলার কংগ্রেস কর্মী, জন-প্রতিনিধি হিসেবে তাই আণরা এখানে পদযাত্রার প্রস্তাব দিই। আজ ২৮ ডিসেম্বর। আজকের দিনে ১৮৮৫ সালে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়। পদযাত্রার সূচনার জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিলাম।"
বাংলায় 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র সূচনা করলেন অধীর
'ভারত জোড়ো যাত্রা'কে বিজেপি-র বিভাজন এবং ঘৃণার বিরুদ্ধে দেশকে একজোট করার উদ্যোগ হিসেবেই এ যাবৎ তুলে ধরেছেন কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু বাংলাতেও কি কংগ্রেসের নিশানায় শুধুমাত্র বিজেপি-ই থাকবে! নাকি তৃণমূল সরকারকে নিশানা করবেন তাঁরা! জবাবে অধীর বলেন, "দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করে রাহুল গান্ধীর মূল স্লোগান বিজেপি-র বিরুদ্ধে। কিন্তু সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার যাত্রাপথে প্রদেশের মানুষের দুঃখ, যন্ত্রণাও শুনছেন তিনি। তুলে ধরছেন নিজের ভাষণে। তাই বিজেপি-র বিরুদ্ধেই শুধু বলতে হবে, আর কারও সমালোচনা করা যাবে না, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই আমাদের। "