Haimanti Update: 'ছবিতে সুযোগ পেয়েই পরিচালককে ডিঙিয়ে প্রযোজকের সঙ্গে যোগাযোগ', হৈমন্তীকে নিয়ে বিস্ফোরক অতনু বসু
Haimanti Ganguly Update: হৈমন্তীর যোগাযোগ রয়েছে বিনোদন জগতের সঙ্গেও। 'অচেনা উত্তম' ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি

কলকাতা: প্রথমে যোগাযোগ হয়েছিল এক কাঠের মিস্ত্রির সূত্র ধরে, সেখান থেকেই সিনেমায় সুযোগ। হৈমন্তীকে একটি নার্সের চরিত্রে সুযোগ দিয়েছিলেন 'অচেনা উত্তম' (Achena Uttam) ছবির পরিচালক অতনু বসু (Atanu Basu)। কিন্তু হৈমন্তীর কাজে বিরক্ত হয়ে মাত্র ১ দিনের শ্যুটিং করিয়েই তাঁকে কাজ থেকে বাদ দেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সামনে এসেছে এক 'রহস্যময়ী নারী'র নাম। যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মুখে, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক রহস্যময়ীর নাম উঠে আসে। কে সেই 'হৈমন্তী'? কেন কুন্তল তাঁর নাম বললেন? কোথায় সেই রহস্য়ময়ী 'হৈমন্তী'? কুন্তলের দাবি, এই হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় হলেন, গোপাল দলপতির স্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে খোঁজ মিলছে না গোপাল দলপতির। গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী-র নামে নথিভুক্ত মুম্বইয়ের এক সংস্থা সিরোকো পার্টনার্সের নাম। সূত্রের দাবি, মুম্বইয়ের অভিজাত নরিম্য়ান পয়েন্টসেই না কি রহস্য়ময়ী হৈমন্তীর অফিস! সিবিআই সূত্রে দাবি, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় কোথায়? গোপাল দলপতিকে যখন এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, উত্তরে গোপাল দলপতি বলেন, তিনি জানেন না। কয়েক বছর আগেই স্ত্রী ছেড়ে চলে গেছেন। তাঁর কোনও ফোন নম্বরও তাঁর কাছে নেই।
গোপাল দলপতির সঙ্গে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হৈমন্তী। কিন্তু পরে ডিভোর্স হয়ে যায়। জানাল তাঁর পরিবার। আজ হাওড়ায় হৈমন্তীর বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে যায় এবিপি আনন্দ। উত্তর বাকসাড়া রোডে এই বাড়িতেই থাকেন হৈমন্তীর বাবা-মা-ছোট বোন। পরিবারের দাবি, বাড়ি লোকের অসুস্থতার খবর পেয়ে ১০-১২ দিন আগে বাড়িতে এসেছিলেন হৈমন্তী। প্রতিবেশীদের দাবি, প্রায়শই তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকত বিলাসবহুল গাড়ি। এই গাড়িতে যাতায়াত করতেন হৈমন্তী। কিন্তু হৈমন্তী কী করতেন? কী পেশার সঙ্গে যুক্ত এনিয়ে কোনও মন্তব্য় করতে চায়নি তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন: ED CBI : একইসঙ্গে রাজ্য়ে ইডি ও সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা, কেন !
এহেন হৈমন্তীর যোগাযোগ রয়েছে বিনোদন জগতের সঙ্গেও। 'অচেনা উত্তম' ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এই ছবির পরিচালক এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল না হৈমন্তীর। এমনকি তাঁর অভিনয়ের কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতাও ছিল না। পরিচালক বলছেন, 'আমার বাড়ির কাঠের মিস্ত্রী রোজ এসে আমায় বলতেন, সামনের বাড়িতে এক দিদি থাকেন, তাঁর নম্বর আপনাকে দেব? অনেকবার বলার পরে আমি রাজি হয়। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে হৈমন্তী। নার্সের চরিত্রে ওঁকে মোটামোটি মানিয়ে যাবে ভেবেই সুযোগ দিই। বড়জোর ৩ থেকে ৪ দিনের শ্যুটিং ছিল ওর। কিন্তু প্রথম দিন কাজে এসেই ও অন্য পরিচালকের সঙ্গে প্রযোজকের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। মুম্বইয়ের ওই সংস্থার ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টরও আমি। এই সমস্ত কিছুই জানতাম না আমি। ঘটনাটা জানাজানি হওয়ার পরে একদিনের কাজ করিয়ে ছবি থেকে ওকে বাদ দিই। এমনকি ডাবিংও অন্য শিল্পীকে দিয়ে করিয়েছিলাম।'






















