R G Kar Protest: 'চা খেতে খেতে ভুলে যাবেন না...' আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে দোকানেই প্রতিবাদ বিক্রেতার
R G Kar Update: আর জি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন-প্রতিবাদের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়ছে।
সোমনাথ মিত্র, হুগলি: সল্টলেকে যখন জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করে যাচ্ছেন, তখন হুগলির বলাগড়ে নিজের দোকানে বসেই অভিনব প্রতিবাদ জানাচ্ছে এক চা বিক্রেতা। দোকানে লাগানো পোস্টারে তিনি লিখেছেন, চা খেতে খেতে ভুলে যাবেন না, তিলোত্তমা বিচার পায়নি, আজ ৩৪ দিন। যতদিন না পর্যন্ত বিচার হচ্ছে, ততদিন এই প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন চা বিক্রেতা জয় ধর।
অভিনব প্রতিবাদ চা বিক্রেতার: আর জি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন-প্রতিবাদের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়ছে। দলে দলে সাধারণ মানুষ ধর্নাস্থলে গিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কেউ নিয়ে যাচ্ছেন খাবার, কেউ জল, কেউ যোগাচ্ছেন মনোবল। আর ধর্নাস্থল থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে হুগলির বলাগড়ে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ব্যাটনই যেন নিঃশব্দে বয়ে চলেছেন চা বিক্রেতা জয় ধর। বলাগড়ে অসম লিঙ্ক রোড ধরে একটু এগোলেই বারুইপাড়া এলাকায় চোখে পড়বে এই চায়ের দোকান। যেখানে চা খেতে বসলেই আপনার চোখ যাবে এই পোস্টারে। যাতে লেখা- চা খেতে খেতে ভুলে যাবেন না, তিলোত্তমা বিচার পায়নি, আজ ৩৪ দিন।
আর জি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে এভাবেই নিঃশব্দে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন চা বিক্রেতা জয়। তাঁর দাবি, বিচার না হওয়া অবধি মানুষ যেন এই ন্যক্কারজনক ঘটনাকে ভুলে না যায়, তারজন্যই এই প্রচেষ্টা। তাই বিচারের দাবিতে যখন একটার পর একটা দিন কেটে যাচ্ছে, তখন দোকানে লাগানো পোস্টারেও একটি একটি করে দিন বাড়িয়ে যাচ্ছেন চা বিক্রেতা। জয় বলেন, "আজকে প্রত্যেকটা মানুষ আসছে, চা খাচ্ছে, যে যার মতো সময় কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। কিন্তু এই চায়ের দোকান বলে শুধু নয়। এটা প্রতিটা সমাজ, বাজার, দোকান, হাট, অফিস মানুষ যেখানেই যাচ্ছে বা যেখানেই যাবে না কেন, প্রতিটা জায়গায় যেন মানুষ যাওয়ার পথে বা চলার পথে এই জিনিসটা মানুষ যাতে না ভোলে। এই ধর্ষণের বিরুদ্ধে যেন একটা কঠোর আইন তৈরি হয়। মহিলারা যেন রাস্তায় সুরক্ষিতভাবে বেরোতে পারে।''
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের নৃশংস এই ঘটনা মনকে নাড়া দিয়ে গেছে জয় ধরের। অনেকবার ভেবেছেন বিচার চেয়ে রাস্তায় নামবেন, প্রতিবাদ করবেন। কিন্তু এই চায়ের দোকানের ওপরই গোটা সংসার নির্ভরশীল হওয়ায়, ব্যবসা ছেড়ে আর বাইরে বেরোতে পারেননি। কিন্তু প্রতিবাদী মন কি আর প্রতিবাদ ছেড়ে থাকতে পারে, তাই দোকানেই পোস্টার লাগিয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন তিনি। চা বিক্রেতার কথায়, "কাজের বাইরে আমার বেরনোটা খুব সমস্যার হয়ে যায়। প্রতিবাদেও আমি সবসময় নামতে পারছি না। আর একদিন প্রতিবাদে নেমে তো সেইভাবে সম্ভব হয়ে ওঠে না। আমি চাই যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের আমি সমর্থন ও সাহস যোগাচ্ছি, যাতে পারি তারজন্য আমার এই পোস্টার লেখা।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2024: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, পুজো অনুদান প্রত্যাখ্যান আরও এক ক্লাবের