(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Hooghly News:ডানকুনিতে পরপর দুর্ঘটনায় মৃত এক, জখম আরও এক
Accidents Takes Life: পরপর দুর্ঘটনায় ডানকুনিতে মৃত এক, জখম আরও এক। এর মধ্যে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে চাকুন্দি হাওড়া ব্রিজ এলাকায়। ঘটনাটি ঘটে ডানকুনির লিচুবাগান এলাকায়।
সৌরভ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, হুগলি: পরপর দুর্ঘটনায়(accidents) ডানকুনিতে (dankuni) মৃত (dead) এক, জখম (injured) আরও এক। এর মধ্যে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে চাকুন্দি হাওড়া ব্রিজ এলাকায়। ঘটনাটি ঘটে ডানকুনির লিচুবাগান এলাকায়। এর মধ্যে প্রথম ঘটনায় একটি গাড়ি ইউ টার্ন (U Turn) করতে গিয়ে এক ব্যক্তিকে পিষে দেয়। মৃতের নাম কৃষ্ণা বাহাদুর।
কী ঘটেছিল?
স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনার সময় ওই ব্যক্তি স্টার ব্যাটারির কাছে রাস্তা পারাপার করছিলেন। 'ঘাতক' গাড়িটি ঠিক সেই সময়ই ডানকুনি থেকে শ্রীরামপুর যাওয়ার পথে হঠাৎ ইউ টার্ন নেয়। তখনই বিপত্তি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই সময়ই কৃষ্ণা বাহাদুরকে পিষে দিয়েছিল গাড়িটি। পেশায় নিরাপত্তারক্ষী ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পরের ঘটনাটি ঘটে বেলা এগারোটা নাগাদ। ডানকুনির লিচুবাগান এলাকায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে নিয়ে পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন আর এক জন। অভিযোগ, সে সময়ই ২৬সি রুটের একটি বাসের ধাক্কায় জখম হন তিনি। একই দিনে জোড়া দুর্ঘটনার জেরে এমন পরিণতিতে চাঞ্চল্য় এলাকায়।
বার বার একই ঘটনা...
রাজ্য়ে এটিই প্রথম সড়ক দুর্ঘটনা নয়। দিনচারেক আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাইকচালকের মৃত্য়ু হয়েছিল নিউটাউনে। মৃতের নাম বিমল হালদার। বয়স ৪৮ বছর। তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানিয়েছিলেন, একটি ডাম্পার তাঁর বাইকে ধাক্কা মেরেছিল। গত অক্টোবরেও সল্টলেক সেক্টর ফাইভে পথদুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে কারও প্রাণ না গেলেও তিন জন আহত হয়েছিলেন। সিগনাল ভেঙে একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে অপর একটি গাড়ি। আহত হন গাড়িতে থাকা এক মহিলা ও ২ পথচারী। দুটি গাড়ির চালককেই আটক করে পুলিশ। তার আগে আগস্ট মাসে খিদিরপুরে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের। পর দিন মৃতের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। ঘটনায় এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট। শোকজ করা হয় এক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও এক এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে। আগস্ট মাসেই মহেশতলার সম্প্রীতি উড়ালপুলে দুর্ঘটনা ঘটে গাড়ি উল্টে আহত হন ১০-১২ জন। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে ভর্তি করা হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন সকাল ৮টা নাগাদ গাড়িটি পুণ্যার্থীদের নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বুরুল থেকে তারকেশ্বর যচ্ছিল। সম্প্রীতি উড়ালপুলে টায়ার ফেটে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িতে ২৫ জন পুণ্যার্থী ছিলেন। একই দিনে বৃষ্টিভেজা রাস্তায় ব্রেক কষতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে ই এম বাইপাসে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় ছোট গাড়ি। তবে এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এছাড়াও রাজ্যের নানা প্রান্তে প্রায়ই কম-বেশি একই ধরনের ঘটনার খবর তোলপাড় ফেলে দেয়। কিন্তু প্রশ্ন একটাই। একটার পর একটা দুর্ঘটনা ও মর্মান্তিক পরিণতির খবর সত্ত্বেও কেন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না পরিস্থিতি? আমজনতার সচেতনতা বাড়ছে না নাকি প্রশাসনের যথেষ্ট নজরদারি নেই?