Hooghly News: স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে হুগলির ১১জনকে আটকে রাখার অভিযোগ, কাঠগড়ায় বর্ধমানের বেসরকারি হাসপাতাল
Allegation Against Private Hospital: স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে হুগলির (Hooghly) পাণ্ডুয়া থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বর্ধমানে (Burdwan)। ১১জনকে আটকে রাখা হয় তিনদিন। কাঠগড়ায় বর্ধমানের বেসরকারি হাসপাতাল
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কমলকৃষ্ণ দে: স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে হুগলির (Hooghly) পাণ্ডুয়ার ১১জন বাসিন্দাকে তিনদিন ধরে আটকে রেখে বার বার রক্ত নেওয়ার অভিযোগ। কাঠগড়ায় বর্ধমানের (Burdwan) একটি বেসরকারি হাসপাতাল। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের সাহায্যে তাঁদেরকে উদ্ধার করা হয় বলে পরিবারের দাবি। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে বাড়ির লোকজন।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে হুগলির (Hooghly) পাণ্ডুয়া থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বর্ধমানে (Burdwan)। একদিনের কথা বলে ১১জনকে আটকে রাখা হয় তিনদিন। অভিযোগের আঙুল বেঙ্গল ফেথ হাসপাতাল নামে বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালের (Private hospital) দিকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে পাণ্ডুয়ার ক্ষীরকুণ্ডি পঞ্চায়েতের নিয়ালার একটি স্কুলে স্বাস্থ্য শিবির করে ওই বেসরকারি হাসপাতাল। সেখান থেকে একাধিক পরীক্ষার জন্য ১১জনকে হাসপাতালে ভর্তির পরার্মশ দেওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, একদিনের কথা বলে প্রত্যেককে তিনদিন আটকে রাখা হয়। পরীক্ষার নামে রক্ত নেওয়া হয় বেশ কয়েক বার।
বর্ধমানের হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার রাতে সকলকে ভর্তি করা হয় পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসাপাতালের চিকিৎসক বি মুখোপাধ্যায় বলেন, “কাগজপত্র দেখে জানলাম বর্ধমানের কোথাও এনজিওগ্রাফি হয়েছিল, এনজিওগ্রাফি রোগীদের অবজারভেশনে রাখতে হয়, এখন প্রত্যেকেই সুস্থ আছে।’’
যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্ধমানের বেঙ্গল ফেথ হাসপাতালের সেন্টার হেড সঞ্জয় সিংহ মহাপাত্র বলেন, “৮-৯জন ভর্তি হয়, হার্টের সমস্যা ছিল, আটকে রাখার অভিযোগ মিথ্যে, গতকাল আমাদের অ্যাম্বুল্যান্স করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, হেলথ কার্ডের জন্য একটু দেরি হয়েছে।’’
বেসরকারি হাসপাতালকে কেন স্বাস্থ্য শিবিরের অনুমতি দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষীরকুণ্ডি পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বাড়িতে চড়াও হন গ্রামবাসীরা। এনিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। পাণ্ডুয়ায়া বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অভিজিৎ ঘোষ বলেন, “গ্রামবাসীদের পাশে থাকা উচিত পঞ্চায়েতের, চিকিৎসা করা উচিত, নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’ ঘটনায় পঞ্চায়েতের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। গোটা ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা থাকায় পঞ্চায়েত অফিস ও উপপ্রধানের বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আইনি জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার দিশা, উদ্যোগ কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্কের