(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Hooghly: চিকিৎসায় গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ, ভাঙচুর নার্সিংহোমে
Hooghly News: উত্তেজিত জনতাকে বাগে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: চিকিত্সার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে হুগলির (Hooghly) গুড়াপে নার্সিংহোম ভাঙচুর। পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল অস্ত্রোপচার করে কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার পর আজ সকালে প্রসূতির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিংহোমে তাণ্ডব চালায় মৃতের আত্মীয়রা। ঘটনাস্থলে যাওয়ায় পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন। উত্তেজিত জনতাকে বাগে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
হাওড়াতেও প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা
রোগী মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা রাজ্যের অন্য প্রান্তেও। চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগে ভাঙচুর নার্সিংহোম। ঘটনাস্থলে পুলিশ। হাওড়া বাঁকরা এলাকার ঘটনা। জগাছা উনসানি এলাকার বাসিন্দা মিনার বেগম (৪০)। দিন পনেরো আগে বাঁকরা এলাকায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তাঁর জরায়ুতে টিউমার হয়েছিল।দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন। এখানে তাঁর অস্ত্রপচার হয়। কিছুদিন পর ছাড়া পেলেও তিনি সুস্থ হননি। তাঁর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। গতকাল তিনি আবার ভর্তি হন ওই নার্সিংহোমে। আজ সকালে মিনারা বেগমের মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, প্রসূতি মৃত্যুর হার কমাতে উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এই কাজে টিন-এজারদের মধ্যে গর্ভবতী হওয়ার হার কমাতে উদ্য়োগ নেওয়া হচ্ছে। টিন-এজ প্রেগন্যান্সির হার কমালেই প্রসূতি মৃত্যুর হার কমবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। ইতিমধ্যেই প্রসূতি মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি এক্সপার্ট টিম।
কী পদক্ষেপ:
রাজ্যে বাড়ছে প্রসূতি মৃত্যুর হার, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার, স্বাস্থ্য ভবনে এই নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, টিন-এজ গ্রুপের মধ্যে প্রসূতি মৃত্যুর হার অন্য বয়সের প্রসূতিদের তুলনায় বেশি।
কোথায় কে দাঁড়িয়ে:
টিন-এজ প্রেগন্যান্সি বা অপরিণত বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার সংখ্যা যদি বিচার করা হয়। তাহলে তথ্যের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। তার পরেই রয়েছে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলায় টিন-এজ প্রেগন্যান্সির হার ১৯ শতাংশ। ২০২০ সালে এই হার ছিল ২৩ শতাংশ। অর্থাৎ আগের তুলনায় বেশ খানিকটা কমেছে।
আরও পড়ুন: স্টেশন ছাড়তেই খুলল ট্রেনের কাপলিং, প্রবল আতঙ্কে চিৎকার যাত্রীদের