Chandannagar: ডাকাতি করতে এসে শিশুকে খুন ! চন্দননগরে যা ঘটে গেল, শিউরে উঠতে হয়
Chandan Nagar News: মা ফিরে এসে শিশুকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরিবারের দাবি, আলমারি ভাঙা ছিল। টাকা-গয়না লুঠ হয়েছে। ডাকাতি করতে এসে শিশুকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
চন্দননগর: এক শিশুর রহস্যমৃত্যু। চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। চন্দননগরের (Chandannagar) কুণ্ডুঘাটে ফাঁকা বাড়িতে ৬ বছরের শিশুর রহস্যমৃত্যু। ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে ডাকাতরা, দাবি মৃত শিশুর পরিবারের। আলমারি খোলা, টাকা-গয়না লুঠ হয়েছে বলে দাবি। মৃত শিশুর নাম নিখিল বিশ্বাস। বুধবার শিশুর বাবা কাজে গেছিলেন। শিশুর দিদিকে স্কুল থেকে আনতে যান মা। পরিবারের দাবি, সেই সময় টেলিভিশনে কার্টুন দেখছিল শিশু। মা ফিরে এসে শিশুকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরিবারের দাবি, আলমারি ভাঙা ছিল। টাকা-গয়না লুঠ হয়েছে। ডাকাতি করতে এসে শিশুকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কীভাবে মৃত্যু, জানতে বৃহস্পতিবারই চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে শিশুর দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।
মৃত শিশুর মেয়ে বলছেন, ''আমি দেখে এসেছিলাম যে ওপরের ঘর শুয়েছিল ব্ল্যাঙ্কেট গায়ে দিয়ে। কার্টুন দেখছিল ও। এরপর আমি চলে এলাম। পরে গিয়ে দেখা যায় যে ও বমি করে ফেলেছে। সংজ্ঞা হারিয়েছিল। মেয়ে জল দিয়েছিল। কিন্তু ওঠেনি আর। এরকম হামেশাই হয়ে থাকে। আমাদের কাজ থাকে। ও নিজের মত ঘরে কার্টুন দেখে।'' যদিও চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ''এখানে কোনও মারার বা খুন করার প্রমাণ মেলেনি। বাচ্চার শারীরিক কোনও সমস্যা ছিল। এছাড়াও বাচ্চার মায়ের মানসিক পরিস্থিতি ঠিক নেই। তাঁর কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।'' মৃত শিশুর বাবা জানিয়েছেন, ''এদিন সকালে আলমারিতে চাবি ঝুলতে দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে আলমারি খুলে দেখি নগদ ৪৫ হাজার টাকা ও গয়না কিছু নেই।''
কুলতলির নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত মুস্তাকিন সর্দার
এদিকে, রাজ্যের অন্য প্রান্তে কুলতলিতে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত করা হল এক ব্যক্তিকে। দোষী সাব্যস্ত হয়েছে মুস্তাকিন সর্দার। মুস্তাকিনকে দোষী সাব্যস্ত করল বারুইপুর POCSO আদালত। আগামী কাল বারুইপুর POCSO আদালতেই সাজা ঘোষণা হবে দোষী সাব্যস্তের। নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ৬০ দিনের মাথায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। আগামী কাল শুক্রবার ৬ ডিসেম্বর ৬১ দিনের মাথায় হবে সাজা ঘোষণা। গত ৪ অক্টোবর নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। ওই রাতেই তার দেহ উদ্ধার হয়। ৫ অক্টোবর নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনে গ্রেফতার করা হয় মুস্তাকিনকে। ৭ অক্টোবর ঘটনার তদন্তে SIT গঠন করা হয়। এর ২৫ দিনের মাথায়, গত ৩০ অক্টোবর পেশ হয় চার্জশিট। আর বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর মুস্তাকিনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।