Hooghly: নিখোঁজ নাবালিকার দেহ উদ্ধার হুগলিতে, পরিবারের সঙ্গে দেখা জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের
Hooghly News: আজ মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যায় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: নবমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নিখোঁজ নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয় দশমীর সকালে। রেল লাইন থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ: আজ মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যায় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের (National Commission for Protection of Child Rights) চেয়ারপার্সন। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের (National Commission for Protection of Child Rights) চেয়ারপার্সনকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। রাজনীতি চাই না, দাবি শেওড়াফুলির (Sheoraphuli) ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শম্পা সরকারের। রাজনীতি নয়, আইনজীবী হিসেবে এসেছি। পাল্টা দাবি প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। জাঙ্গিপাড়া এবং শেওড়াফুলি দুই নাবালিকার মৃত্যুর ক্ষেত্রেই পুলিশি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ করলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগ।
বাধার মুখে পড়ল জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন: হাতে কালো পতাকা, মুখে গো ব্যাক স্লোগান। বিক্ষোভ, ধাক্কাধাক্কি, উত্তেজনা। শেওড়াফুলিতে মৃত নাবালিকার বাড়িতে যাওয়ার পথে প্রবল বাধার মুখে পড়ল জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। শেষ পর্যন্ত পুলিশি হস্তক্ষেপে গ্রামে ঢুকতে পারলেন কমিশনের সদস্যরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, নবমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় শেওড়াফুলির নাবালিকা। দশমীতে শেওড়াফুলি স্টেশনের কাছে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। দেহ উদ্ধারের ৬ দিনের মাথায় নাবালিকাকে খুনের অভিযোগে এলাকার এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুক্রবার মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে স্থানীয়দের প্রবল বিক্ষোভের সামনে পড়তে হয় জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনকে। বাধার মুখে পড়েন বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালও। পুলিশি হস্তক্ষেপে প্রায় ৪৫ মিনিট পর গ্রামে ঢুকতে পারেন প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল-সহ জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। কথা বলেন মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে। জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেন, “প্রথমে ঢুকতে বাধা দেওয়ায়, পরে বাধ্য হয়ে পুলিশি হস্তক্ষেপে আমাদের দেখা করতে দেওয়া হয় পরিবারের সঙ্গে। পোস্ট মর্টেমের সময় ভিডিওগ্রাফি হয়নি। নিয়মমতো তদন্ত হচ্ছে না।’’
আরও পড়ুন: School Service Commission: ৮ বছর পরে শুরু হচ্ছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া