Hooghly News: 'শুভেন্দু অধিকারীর লোক হয়ে এখানে ঢুকেছ', ক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক; তারকেশ্বর স্টেশন চত্বরে দোকানের সামনে বিক্ষোভ
Tarakeswar Station: তারকেশ্বর স্টেশন চত্বরে রেলের টেন্ডারে বসানো ওষুধের দোকানে হাজির হন তৃণমূল বিধায়ক।

সোমনাথ মিত্র, তারকেশ্বর : তারকেশ্বর স্টেশন চত্বরে ওষুধের দোকানে কাজ করছেন নন্দীগ্রামের ছেলে। শুনেই ক্ষুব্ধ এলাকার তৃণমূল বিধায়ক। সটান শুভেন্দু অধিকারীর নাম টেনে নিশানা করলেন দোকানের কর্মচারীকে। আর সেই ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তৃণমূল বিধায়ককে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল বিধায়কও।
হুগলির তারকেশ্বরের দোকানে কাজ করেন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের বাসিন্দা এক তরুণ। আর এই সামান্য় বিষয় নিয়েও তৃণমূল ও বিজেপির মধ্য়ে চড়ল সংঘাতের পারদ। একে অপরকে আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়।
তারকেশ্বরে এখন শ্রাবণী মেলা চলছে। শহরে আসা পুণ্যার্থীদের জন্য তারকেশ্বর স্টেশন ও তার আশেপাশে কী ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে, বুধবার তার তদারকিতে বেরোন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়। সেই ছবি নিজেই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। তারকেশ্বর স্টেশন চত্বরে রেলের টেন্ডারে বসানো ওষুধের দোকানে হাজির হন তৃণমূল বিধায়ক। জানতে চান দোকানের মালিক কে? কর্মচারীরা কোথাকার বাসিন্দা? দোকানের এক কর্মচারী নন্দীগ্রামের বাসিন্দা শুনেই শুভেন্দু অধিকারীর নাম টেনে তাঁকে নিশানা করেন তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়।
উভয়ের কথোপকথন এরকম-
তৃণমূল বিধায়ক : দোকানের মালিক কে ?
দোকানের কর্মচারী : দোকান মালিক রাজস্থানে আছেন।
তৃণমূল বিধায়ক : তোমার বাড়ি কোথায় ?
দোকানের কর্মচারী : চাউল পট্টি মোড়ে।
তৃণমূল বিধায়ক : চাউল পট্টি মোড়ে।
তৃণমূল বিধায়ক(অপর কর্মচারীকে দেখে) : আর তোর বাড়ি কোথায়?
দোকানের কর্মচারী : ওর বাড়ি নন্দীগ্রাম।
তৃণমূল বিধায়ক : শুভেন্দু অধিকারীর লোক হয়ে এখানে ঢুকেছ।
তারকেশ্বরের তৃণমুল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়, আমার বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের বাসিন্দা, যিনি ওনার এলাকায় দোকানদারি করেন, তাঁকে শাসাচ্ছেন !!!
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) July 24, 2025
নন্দীগ্রামে ওনার মালকিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন বলে কি সারা রাজ্যে তৃণমূল নেতাদের বরাত দেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রামবাসীদের… pic.twitter.com/NXIMJkLwv2
নিজের এক্স হ্যান্ডলে এই ভিডিও রিপোস্ট করে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, "নন্দীগ্রামে ওঁর মালকিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন বলে কি সারা রাজ্যে তৃণমূল নেতাদের বরাত দেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রামবাসীদের হেনস্থা করার ? তবে একটা কথা বলি রামেন্দু সিংহ রায়কে, নন্দীগ্রামবাসী বলেই শুভেন্দু অধিকারীর লোক নয়, কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী প্রত্যেক নন্দীগ্রামবাসীর লোক। কথাটা মাথায় রাখবেন।"
তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "তারকেশ্বরে ওই দোকানেই এক কর্মী আছেন, যার বাড়ি নন্দীগ্রামে। তা দুইয়ে দুইয়ে কত হয়, চার হয়। বিজেপির সরকারের রেল। তারা টেন্ডার দিচ্ছে। রাজস্থানের লোক টেন্ডার পাচ্ছে। রাজস্থানে কাদের সরকার ? বিজেপির সরকার। আর কর্মী যে কাজ করছে, সে হচ্ছে নন্দীগ্রামের। তাহলে চেন সিস্টেমে এটা বিজেপির লাইনে হয়েছে। তাই বলেছি যে, ভারতীয় রেল নেই, এটা বিজেপির রেল।"
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, "মেলাতে যিনি এসেছে, তিনি নন্দীগ্রামের ছেলে। তিনি কর্মসূত্রে এখানে এসেছেন, কাজ করছেন। তিনি বাংলায় কথা বলেন, বাঙালি। এরা যে রাজনীতি করছে, দু'দিন পর তো নন্দীগ্রাম থেকে পুজো দিতে এলে হয়তো পুজো দিতেই দেবে না।"
ওই দোকানের সামনে বিক্ষোভও দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।























