Sukanta Majumdar: 'সাধারণ মানুষের যত ক্ষণ অসুবিধা না হয়, তত ক্ষণ অবস্থানে থাকব', রিষড়ায় পুলিশের সঙ্গে অশান্তির পর বার্তা সুকান্তর
State BJP President Gets Into Brawl:পুলিশের বাধার মুখেও রিষড়ায় ঢুকতে অনড় বিজেপি। দফায় দফায় বচসা, হাতাহাতি। হেঁটেই রিষড়ায় ঢোকার চেষ্টা করলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
শিবাশিস মৌলিক, রিষড়া: পুলিশের বাধার মুখেও রিষড়ায় (rishra) ঢুকতে অনড় বিজেপি (BJP)। দফায় দফায় বচসা, হাতাহাতি। হেঁটেই রিষড়ায় ঢোকার চেষ্টা করলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শেষে অবস্থানে বসলেন তিনি। বললেন, 'আমরা এখানে অবস্থানে (Sit In Protest) রয়েছি। তত ক্ষণ থাকব, যত ক্ষণ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের অসুবিধা না হবে।' এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে আটকানো হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। কোন্নগরে গাড়ি থেকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। জিটি রোডে ব্যারিকেড ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। এরপর রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।
কী বললেন সুকান্ত?
'আমরা বলেছিলাম গাড়ি ছেড়ে পায়ে হেঁটে যাব। তাও পুলিশ আমাদের অনুমতি দিচ্ছে না। এই পুলিশ পুরোপুরি তৃণমূলের হয়ে কাজ করে।' তাঁর মতে, কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে লাভ নেই। কারণ তিনিও তাঁর 'মালিক', মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে চলেন, মত সুকান্তর। তবে একই সঙ্গে তিনি জানালেন, সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা এমন ভাবেই অবস্থান ধর্নায় বসেছেন যাতে রাস্তার একাংশ খালি থাকে। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে আপৎকালীন পরিষেবার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। একই সঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রীকেও আক্রমণ করেছেন তিনি। বলেছেন, 'হনুমান জয়ন্তিতেও যাতে হামলা চলে, সেই ইঙ্গিতই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দুধেল গাইদের ইঙ্গিত দিচ্ছেন।'
ধুন্ধুমার রিষড়ায়
রবিবারের অশান্তির পর সোমবার সকালে রিষড়ায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। জটলা হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। সরানো হয় জমায়েত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু বেলা বাড়তেই নতুন করে আবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুভেন্দু অধিকারীর পর, এবার রিষড়াকাণ্ডে আহত পুড়শুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষকে দেখতে উত্তরপাড়ার বেসরকারি হাসপাতালে যান সুকান্ত মজুমদার। সকালে হাসপাতালে যান বিরোধী দলনেতা। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পর, বিজেপি বিধায়ককে দেখতে যান দলের রাজ্য সভাপতি। এরপর সুকান্তর গন্তব্য হয় রিষড়া। কিন্তু সেখানে ঢোকার আগেই কোন্নগরে গাড়ি থেকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে আটকানো হয়। পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকায় সুকান্তর গাড়ি। এরপর বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কার্যত ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে বিজেপি কর্মীরা। ওঠে স্লোগান।
আরও পড়ুন:কোন্নগরে ধুন্ধুমার, সুকান্তকে রিষড়ায় ঢুকতে বাধা, ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা বিজেপি কর্মীদের