Howrah Dengue News: ডেঙ্গির খোঁজ নিতে গিয়ে মর্মান্তিক ঘটনা, হামলার শিকার মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী
Howrah News: হাওড়ার সাঁকরাইলের বড়বাগান মান্না পাড়ায় তীব্র উত্তেজনা। গ্রেফতার অভিযুক্ত।

কলকাতা: ডেঙ্গির খোঁজ নিতে গিয়ে অ্যাসিড হামলার শিকার মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগ, জমা জল দেখতে গিয়ে বাড়ির মালিকের সঙ্গে বচসা বাঁধে। বচসার মধ্যেই অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্ত ওই মহিলা।
দুর্গাপুজোর আগে কলকাতায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি। হাওড়ার সাঁকরাইলের বড়বাগান মান্না পাড়ায় ডেঙ্গি নিয়ে খোঁজখবর করতে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিপ্লব মান্না নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আগেই ডেঙ্গির লার্ভা মিলেছিল। বাড়িতে জমা জল আছে কিনা, ফের দেখতে যান মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা। জমা জল দেখতে চাওয়ায় বাড়ির মালিকের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের বচসা বাঁধে। অভিযোগ, বচসার মধ্যেই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর পিঠে অ্যাসিড ছোড়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে জখম ওই মহিলাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত মহিলাকে দেখতে গিয়ে ঘটনার নিন্দা করেন সাঁকরাইলের বিধায়ক প্রিয়া পাল। গোটা ঘটনায় আতঙ্কে হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সতর্ক কলকাতা পুরসভা। গত সোমবার পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। পুজো মণ্ডপে কোথাও যাতে জল না জমে, সেদিকে দেওয়া হচ্ছে জোর। চলতি মাসে বেহালার পর্ণশ্রীতে মৃত্যু হয়েছে এক ডেঙ্গি আক্রান্তের। পর্ণশ্রীর বাসিন্দা অরিজিৎ দাসের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্য়ুর কারণ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ডেঙ্গির। পুজোর আগে এই পরিস্থিতিতে রাশ টানতে বাড়তি সতর্ক কলকাতা পুরসভা। বিভিন্ন পুজোপ্য়ান্ডেলে জল জমে যাতে মশাবাহিত রোগ না ছড়ায়, তার জন্য বেশকিছু বিধিনিষেধ জারি করছে তারা। শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে প্য়ান্ডেলের কাঠামোয় ব্য়বহৃত বাঁশে যাতে জল জমতে না পারে সেদিকে জোর দিতে বলা হচ্ছে। গত ১৮ অগাস্ট কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। এর পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার সাতটি ওয়ার্ডের নির্দিষ্ট কিছু অংশকে ডেঙ্গি প্রবণ বলে চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুরসভা। এই এলাকাগুলি যাতে কোথাও জল বা জঞ্জাল না জমে থাকে, সে দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, চলতি বছর ১০ অগাস্ট পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্য়া ২৯০।






















