Howrah News: ‘গদ্দার রাজীব হুঁশিয়ার’, ‘বার বার কল্যাণকেই চাই’ ডোমজুড়ে ফ্লেক্স যুক্ত
একদিকে ডোমজুড়ের (Domjur) বাঁকড়ায় (Bankra) রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) বিরুদ্ধে পড়ল ফ্লেক্স। সেই ফ্লেক্সে লেখা ‘গদ্দার রাজীব তুমি হুঁশিয়ার’।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকড়া: একই জায়গায় জোরা ফ্লেক্স। একদিকে ডোমজুড়ের (Domjur) বাঁকড়ায় (Bankay) রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) বিরুদ্ধে পড়ল ফ্লেক্স। সেই ফ্লেক্সে লেখা ‘গদ্দার রাজীব তুমি হুঁশিয়ার’। অন্যদিকে শুক্রবার বাঁকড়াতেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) নামে পড়ল ফ্লেক্স। ফ্লেক্সে লেখা ‘বার বার শ্রীরামপুরে কল্যাণকেই চাই’।
হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়েও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) বিরুদ্ধে ফ্লেক্স। আজ সকালে বাঁকড়া ১ ও ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় হাওড়া-আমতা রোডের (Howrah-Amta Road) ধারে শ্রীরামপুরের (Sreerampur) তৃণমূল (TMC) সাংসদের বিরুদ্ধে একাধিক ফ্লেক্স দেখা যায়। কারা ওই ফ্লেক্স লাগিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর আগে হুগলির রিষড়াতেও (Rishra) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার দেখা যায়। ডোমজুড় বিধানসভা শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
এ যেন শেষ হয়েও, হচ্ছে না শেষ। তৃণমূলে অসন্তোষের চ্যাপ্টার ক্লোজড নয়, বরং আরও তীব্র হল বিতর্ক। ফের শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রেই পড়ল পোস্টার। এদিন সকালে ডোমজুড়ের একাধিক জায়গায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে “আর নয় কল্যাণ’’ লেখা পোস্টার দেখা যায়। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, শ্রীরামপুর নতুন সাংসদ চায়, বলে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুড়তুতো ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর প্রথমে রিষড়ায় শ্রীরামপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে পোস্টার, এবার ফ্লেক্স ডোমজুড়ে।
বিতর্কের শুরুটা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মতামত এবং তার প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিস্ফোরণ মন্তব্য ও কুণাল ঘোষের পাল্টা জবাব থেকে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মত আগামী ২ মাস সব ধরণের জমায়েত বন্ধ থাকা উচিত।’’ এই প্রেক্ষিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক একটা পদ যে কোনও কাউকে দেওয়া হতে পারে। এই পদে বসে কোনও ব্যক্তিগত মতামত থাকতে পারে না। এটা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধাচারণ।’’ পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “উনি কী বলেছেন, সন্ধের পর বলেছেন কি না, আমি জানি না।’’ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলে আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারও। তাঁর বাড়ির কাছেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টারও দেখা যায়।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে তাঁরই বিরুদ্ধে পড়ল ‘মীরজাফর’ লেখা ফ্লেক্স। যা দেখে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। পাল্টা জবাব এসেছে প্রতিপক্ষ শিবির থেকেও।
তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেছেন, ‘আমি জনপ্রতিনিধি, জাতধর্ম দেখি না। কিছু লোক যারা ভয় পাচ্ছে, তারাও খরচ করছে, আমার অন্য ছবি দিচ্ছে। তাদের অভিনন্দন জানাই।’ পাল্টা তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেছেন, ‘মীরজাফর মীরজাফরই। মানুষ বুঝেছে শুভেন্দু কত বড় গদ্দার।’