Howrah: বেহাল রাস্তা, স্কুল থেকে ফেরার পথে টোটো উল্টে মৃত্যু শিশুর
Accident: রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকায় কিছুটা যাওয়ার পরেই টোটো উল্টে যায়। এতে গুরুতর জখম হয় ওই শিশু ও তার দাদু।
সুনীত হালদার, হাওড়া: ভয়াবহ দুর্ঘটনার বলি ছোট্ট প্রাণ। টোটো উল্টে মৃত্যু হল এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে, হাওড়া পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে হাঁসখালি পোলে হরেকৃষ্ণ নগরে। জানা গিয়েছে এদিন সকালে স্কুল থেকে দাদুর টোটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিল নার্সারির ছাত্র রূপক মালিক। টোটোটি চালাচ্ছিলেন তার দাদু নিজেই। রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকায় কিছুটা যাওয়ার পরেই টোটো উল্টে যায়। এতে গুরুতর জখম হয় ওই শিশু ও তার দাদু। শিশুসহ তার দাদুকে হাওড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ছোট্ট শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তার মৃত্যু হয় সেখানেই। টোটো চালক অর্থাৎ শিশুটির দাদু গণেশ মালিকের পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে। সে এখন ওই হাসপাতালেই এখনও চিকিৎসাধীন। তবে শিশুর মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন পরিবার। বেহাল রাস্তার জন্য এই দুর্ঘটনা এমনটাই অভিযোগ পরিবারের।
বাঁকুড়ায় বেহাল পরিস্থিতি: এর আগেও বেহাল রাস্তার একাধিক ছবি উঠে এসেছে এই রাজ্যেই। কিছুদিন আগে বাঁকুড়ায় দেখা গিয়েছিল হাত দিয়ে টানাটানি করলেই উঠে আসছে পিচ। বেশি চলাফেরা করলেই ভেঙে যায় রাস্তা। রাস্তার মান নিয়ে এমনই নানা অভিযোগ ওঠে। বাঁকুড়ার সিমলাপালের সেই রাস্তা তৈরি হয়েছে পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে। ফলে তাতে জড়িয়েছে রাজনীতিও। একদিকে খারাপ রাস্তা নিয়ে তৃণমূলকে (TMC) নিশানা করেছে বিজেপি (BJP)। অন্যদিকে পাল্টা কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। রাজনৈতিক তরজা যাই হোক। রাস্তার হাল নিয়ে তুমুল ক্ষোভ ছড়ায় সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে।
বেহাল রাস্তার কারণে মৃত্যু: অন্যদিকে কিছুদিন আগে মালদার ঘটনা তোলপাড় করে দিয়েছিল গোটা রাজ্য। ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে গাড়ি যেতে না পারার কারণে খাটিয়া করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল রোগিণীকে। শেষরক্ষা হয়নি, পথেই মারা যায় রোগিণী। সেই ঘটনা ঘিরেই তুমুল ক্ষোভ ছড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
দীর্ঘদিন ধরে বিধায়ক, তারপরে ওই জেলারই সাংসদ। তারপরেও কেন রাস্তা বেহাল রয়েছে সেই প্রশ্ন তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরা অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁর এলাকায় এখনও পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল রয়েছে। কখনও সেই রাস্তা ঠিক হচ্ছে না। সংসদ তহবিল থেকে দেওয়া টাকার পরিমাণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বামনগোলার (Bamangola) মালডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা। এক গ্রামবাসী সুমন দাসের অভিযোগ, 'বারবার করে আসছেন, আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন, ১০ লক্ষ, ৫ লক্ষ করে দিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের তো স্থায়ী সমাধান নয়। ৫ কিলোমিটার রাস্তা, ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে কী হবে? আমরা চাইছি একটা স্থায়ী সমাধান। সবাই তো রাজনীতির রং নিয়ে ব্য়স্ত। কিন্তু, আমরা সাধারণ মানুষ তো মরে যাচ্ছি।' খগেন মুর্মু জানিয়েছেন, বিডিও-র সঙ্গে কথা বলে ১৩ লক্ষ টাকা আপাতত তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে দিচ্ছেন। বাকি টাকা কোন তহবিল থেকে আসবে, তা বিডিও-কে জানাতে বলা হয়েছে।