Howrah News : প্রাক্তন প্রধানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন, আত্মঘাতী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য
TMC : প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগও এনেছে মৃতের পরিবার। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, আইন আইনের পথে চলবে, কেউ দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি পাবে।
সুনীত হালদার, হাওড়া : জগৎবল্লভপুরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার (TMC Leader Death)। 'তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে আত্মঘাতী' বলেই অভিযোগ পরিবারের। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগও এনেছে মৃত মৌসুমী পালের (৩৩) পরিবারের। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ (JagatBallavpur Police Station)।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে জগৎবল্লভপুরের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের বাড়িতে তাঁর ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যে দেহ উদ্ধার করে গাববেড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যারপর সেখানেই দেহের ময়নাতদন্ত হয়। পোস্ট মর্টেমের পর বাড়ির মেয়ের দেহ হাতে পেয়ে ক্ষোভে-কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃত তৃণমূল সদস্যের পরিবার। তাঁদের অভিযোগের তির তৃণমূলের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম বেরার দিকে।
পরিবার সূত্রে দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই মৌসুমীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল গৌতমের। পেশায় শিক্ষিকা মৌসুমীর সঙ্গে আগামী বছর বিয়ের কথাবার্তাও শুরু হয়েছিল গৌতমের। যদিও পরিবারের দাবি, গত বেশ কয়েকদিন সম্পর্কের অবনতির আঁচ পেয়েছিলেন তাঁরা। বিয়ের কথাবার্তা শুরু পর থেকেই সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল বলেও দাবি পরিবারের। এদিন সকালে গৌতমই ফোন করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মৌসুমীর বাড়ির লোককে আশঙ্কার খবর দেন। যার পরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মৌসুমীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পরিবার। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবারের অভিযোগ, প্রাক্তন তৃণমূলের প্রধান গৌতম বেরাই তাঁদের বাড়ির মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন।
আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযোগ আনলেও কোনও লিখিত অভিযোগ এখনও দায়ের করেননি মৃত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবারের লোকজন। পুলিশের তরফেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঠিক কী কারণে মৌসুমী আত্মঘাতী হলেন তা নিয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশ অপেক্ষায় রয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত গৌতম বেরার সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে, হাওড়ার পাঁচলার বিধায়ক গুলসন মল্লিক বলেছেন, দু'জনের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল বলেই শুনেছি। দল এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবে না। আইন আইনের পথে চলবে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি পাবে।
আরও পড়ুন- ছিল আক্রমণের বিকল্প প্ল্যানও ! সংসদ তাণ্ডব কাণ্ডে ধৃত ললিত ঝা-কে জেরায় বিস্ফোরক তথ্য
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে