Howrah News : উঁচুতে উঠতেই মাথা ঠেকেছে দুই বাড়ির, বাঘাযতীনের পরিণতি দেখে ঘুম উড়েছে হাওড়ার বহুতলের বাসিন্দাদের
হাওড়ার জনবহুল এলাকায় চোখে পড়ল এমনই দুই বহুতল। শরৎ চ্যাটার্জি রোডে হেলে গিয়ে ঠেকে গেছে দুটি পাশাপাশি বহুতলের মাথা।

সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, সুনীত হালদার, সমীরণ পাল, কলকাতা : শুরুটা হয়েছিল বাঘাযতীন থেকে। আর এরপর, কলকাতা ও শহরতলিতে একের পর এক হেলে পড়া বহুতলের ছবি সামনে আসছে। এবার সেই আতঙ্ক দেখা দিল তপসিয়াতেও। শুধু তাই নয়, হাওড়ায় শরৎ চ্যাটার্জি রোডেও দেখা গেল একই ছবি।
হাওড়ার জনবহুল এলাকায় চোখে পড়ল এমনই দুই বহুতল। শরৎ চ্যাটার্জি রোডে হেলে গিয়ে ঠেকে গেছে দুটি পাশাপাশি বহুতলের মাথা। দুই বাড়ির এক-তলার মধ্যেও নিয়ম-মাফিক দূরত্ব নেই, তবে সেখানে তবু বা যেটুকু ফাঁক রয়েছে, যত উপরের দিকে উঠেছে বাড়ি, ততই কাছাকাছি এসে পড়েছে দুই বহুতল। প্রায় মাথায় মাথা ঠেকিয়ে শিল্পশহর হাওড়ার ঘিঞ্জি এলাকায় দাঁড়িয়ে দুই বহুতল।
ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা জানিয়েছেন গত কয়েকবছর ধরেই এই অবস্থায় রয়েছে বাড়ি দুটি। যদিও এবিষয়ে এতদিন হাওড়া পুরসভায় কোনও অভিযোগ জানাননি তাঁরা। বাঘাযতীনে বাড়ি ভেঙে যাওয়ার ঘটনার পর তাঁরা সতর্ক হয়েছেন। আতঙ্ক ঢুকেছে মনে। এই ঘটনায় ত্রস্ত এখন বাড়ির বাসিন্দারা।
অন্যদিকে, হাওড়ার মতোই ছবি তপসিয়ায়। একতলায় দূরত্ব এক থেকে দেড় ফুট। ফ্ল্যাট যত উপরের দিকে উঠেছে মাঝের দূরত্ব ইঞ্চিতে নেমে এসেছে। আর এই হেলে পড়া বহুতলকে কোনওক্রমে রাখা হয়েছে ঠেকনা দিয়ে। তাতে ব্যবহার করা হয়েছে লোহার বিম। তপসিয়ার ১২ নং লোকনাথ গার্ডেন লেনের এই ছবি দেখলে আঁতকে উঠতে হয়। একেবারে ঢালাই করে বিল্ডিংয়ের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে লোহার বিমগুলি। সিঁড়ি ভেঙে ৫ তলায় উঠলেই দেখা যাবে, ২ টি বহুতলের মধ্যে আর ফাঁক বলতে প্রায় কিছুই নেই। প্রায় জোড়া লাগল বলে।
এই একই ছবি দেখা গিয়েছে বরানগরেও। আতঙ্কে রয়েছেন বরানগর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যায়তন সরণির বাসিন্দারাও। আবার ট্যাংরায় দেখা গিয়েছে, দুটি বহুতলের মধ্যে ব্যবধান বিপজ্জনকভাবে কমছে। কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১১/২, ক্রিস্টোফার রোডের পাঁচতলা বহুতল ও পাশের ৬ তলা নির্মীয়মাণ বহুতলের মধ্যে কোথাও মাত্র সাড়ে ৭, কোথাও ১৩ ইঞ্চির ব্যবধান। ইতিমধ্যেই হেলে পড়া ৫ তলা বহুতলকে বিপজ্জনক বলে নোটিস দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে , কলকাতার মেয়র বলেন, 'সব হেলে পড়া বাড়িই বিপজ্জনক নয়, যদি স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি থাকে। তাই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধিকারিকরা রিপোর্ট দেওয়ার পরই সিদ্ধান্ত হবে বহুতল ভাঙার বিষয়ে।' ট্যাংরার হেলে পড়া বহুতল সম্পর্কে বলতে গিয়ে এই কথা বলেন তিনি। বাড়ি ভাঙা হলে আবাসিকদের জন্য বাংলার বাড়ি করে দেওয়া হবে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
