Salt Lake Landslide: সুকান্তনগর চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে 'ধস', বিপদ এড়াতে যান চলাচলের কমল গতি
Sukanta Nagar Chingrighata Flyover: সাত সকালে সল্টলেকের সুকান্তনগর চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে ধস নিয়ে চাঞ্চল্য এলাকায়। আজ সকালে সেক্টর ফাইভগামী রাস্তায় একাধিক গর্ত দেখতে পান গাড়ি চালকরা
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও রণজিৎ সাউ, কলকাতা: সাত সকালে সল্টলেকের সুকান্তনগর চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে ধস নিয়ে চাঞ্চল্য এলাকায়। আজ সকালে সেক্টর ফাইভগামী রাস্তায় একাধিক গর্ত দেখতে পান গাড়ি চালকরা। বড়সড় ধস নামার আশঙ্কায় চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। কী কারণে ওই রাস্তায় এ ধরনের গর্ত তৈরি হল, তা নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
যা জানা গেল...
ইএম বাইপাস থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভগামী এই সুকান্তনগর চিংড়িঘাটা উড়ালপুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বহু গাড়ি ওই উড়ালপুলের উপর দিয়ে যাতায়াত করছে। সেই উড়ালপুলের শেষ প্রান্ত অর্থাৎ সুকান্তনগরের দিকে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এই ধরনের গর্ত এখানে প্রায়ই দেখা যায়। যদিও এই বার এই গর্তের আকার অনেকটাই বড়, তাই ধসের আশঙ্কা। বার বার কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে? এই নিয়ে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? এই এলাকায় নিউ গড়িয়া মেট্রো রুটের কাজ চলছে। ফলে ভারী যন্ত্রপাতি ও মেশিনের ব্যবহার হচ্ছে। সেই কারণেই কি ধস? এখনও পর্যন্ত কেএমডিএ-র পক্ষ থেকে কাউকে দেখা যায়নি।কিন্তু বেলা যত বাড়ছে, ততই যানবাহনের চাপ বাড়ছে এই উড়ালপুলে। ফলে ধসের আশঙ্কাও বাড়ছে। কী হবে এর পর? কেএমডিএ কি কোনও ব্যবস্থা নেবে? সেক্ষেত্রে কি উড়ালপুল বন্ধ করে দেওয়া হবে নাকি উড়ালপুলের একাংশ বন্ধ করে মেরামতির কাজ চলবে? এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোর কাজের জন্যই এই বিপত্তি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
বিপর্যয়ের স্মৃতি...
উড়ালপুল ভেঙে পড়ে বড়সড় বিপর্যয়ের সাক্ষী রয়েছে কলকাতা। ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ, দিনের ব্যস্ত সময়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পোস্তার নবনির্মিত উড়ালপুলের একাংশ! ভয়াবহ সেতু বিপর্যয়ে মৃত্যু হয় ২৭ জনের। পরে তা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। ভেঙে পড়া পোস্তা উড়ালপুল মেরামতি সম্ভব ছিল না কোনওভাবেই। তাই বিপর্যস্ত সেতুর বাকি অংশও ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় KMDA। গোটা বিষয়টি হয় রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিসের তত্ত্বাবধানে। ২০০৮ সালে বিবেকানন্দ উড়ালপুল তৈরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। ১৫০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ হয়েছিল। নির্মাণের দায়িত্ব পায় হায়দরবাদের সংস্থা আইভিআরসিএল। ২০০৯-র সেপ্টেম্বরে শুরু হয় সেতু তৈরির কাজ। ২০১৮-র ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট সেতুতেও বিপর্যয় ঘটে। এখন মাঝেরহাটে নতুন সেতুর পথচলা শুরু হয়েছে। পোস্তায় কি নতুন সেতু-বন্ধন হবে ভবিষ্যতে?
আরও পড়ুন:৬০ পেরিয়েও দুরন্ত ফিটনেস! স্কাইডাইভিংয়ে জোড়া রেকর্ড ১০১ ষাটোর্ধ্বের